বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) আজকের ম্যাচের শুরুর দিকে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) ভক্তদের অনেকেই একটু চিন্তাগ্রস্থ ছিলেন। আহমেদাবাদে ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচে টসে জিতে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শুরুটা বন্ধ করেনি পাকিস্তানের দুই ওপেনার। তাদের মধ্যে ৪১ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। তুই ওখানে ফেরার পর বাবর আজম এবং মহাম্মদ রিজওয়ান ৮২ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সিরাজ (Md. Siraj), বুমরার (Jasprit Bumrah), হার্দিক (Hardik Pandya), কুলদীপ (Kuldeep Yadav), জাদেজার (Ravindra Jadeja) সামনে ঘরের মতো ভেঙে পড়লো পাকিস্তানের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার।
শার্দূল ঠাকুর বাদে প্রত্যেক ভারতীয় বোলার এদিন অসাধারণ বোলিং করেছেন। পাকিস্তানের ইনিংসে ভাঙনের শুরুটা করেছিলেন সিরাজ। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন হার্দিক (২/৩৪)। প্রথম তিনটি উইকেট হার্দিক এবং সিরাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি বাবর আজমের উইকেটটি নিয়েছিলেন সিরাজ (২/৫০)। প্রথম স্পেলে কিছুটা রান খরচ করলেও তিনি পরের দিকে উপযোগী বোলিং করেছেন।
এরপর মিডল অর্ডারকে ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কুলদীপ (২/৩৫)। তার ঘূর্ণিতে সাউদ সাকিল ও ইফতিকার আহমেদের মত দুই ক্রিকেটার অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং পাকিস্তান যেন ওখানেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়। তার বোলিংয়ে পাকিস্তান যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখান থেকে আর ফেরার উপায় ছিল না।
তারপরেও পাকিস্তানের ভক্তরা হয়তো ২৩০-২৪০ এর মধ্যে একটা স্কোরের আশা করছিলেন। কিন্তু পরপর দুই ওভারে রিজওয়ান এবং শাদাব খানকে বোল্ড করে তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দেন বুমরা (২/১৯)। প্রথমদিকে তিনি চাপা বোলিং করে রান আটকে রেখেছিলেন। পরের দিকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে তিনি নিশ্চিত করেন যাতে পাকিস্তান ব্যাটাররা ভারতের সামনে কোনরকম চ্যালেঞ্জ না ছুড়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: বল হাতে পড়লেন মন্ত্র, পরের বলেই উইকেট! ভারতের হার্দিকের বিরুদ্ধে কালা জাদুর অভিযোগ পাক ভক্তদের
এরপর শুধু বাকি ছিলেন জাদেজা। শেষের শুরুটা তিনিই করেন। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তিন উইকেট নেওয়ার পর এই ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে এই তারকা অলরাউন্ডার পাকিস্তানের লেজ ছেঁটে দেন। জাদেজার দাপটে শেষে ১৯১ রানের স্কোরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। প্রশংসা প্রাপ্য রোহিতের অধিনায়কত্বেরও। বিরাট কোহলি এসে তাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার পর প্রথম উইকেটটি এসেছিল। কিন্তু তারপর যেভাবে তিনি বোলিং পরিবর্তন করেছেন, সঠিক ডিআরএস কল করেছেন, তা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। অনেকেই তার সফলভাবে রিভিউ নেওয়ার বিষয়টির সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সময়ের তুলনা করছেন। আজ মাঠে একটাও রিভিউ নষ্ট করেনি ভারত। এখন রোহিতের লক্ষ্য হবে এই গিলকে সঙ্গে নিয়ে যথাসম্ভব কম উইকেট হারিয়ে এই টার্গেট তুলে ফেলার।