বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) তোলপাড়! এবার জড়িয়ে গেল গোটা একটা স্কুলের নাম। আদালতে একের পর এক বড় তথ্য ফাঁস করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। এ কেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটের হদিস! কোন স্কুলের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির লেনদেন চলত, মঙ্গলবার সেই নামই প্রকাশ্যে আনল ইডি (Enforcement Directorates)।
ইডির দাবি, ‘এস কে বি মেমোরিয়াল স্কুলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক-পুত্র শৌভিক (Manik Bhattacharyas son Souvik Bhattacharya)। আদালতে ইডি জানিয়েছে, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাবা-ছেলে জুটি স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিলেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীসংস্থা আদালতে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই মামলায় একজনকে সমন পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার তাকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে জানিয়েছে ইডি। পাশাপাশি এদিন সংশ্লিষ্ট স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক, লেনদেন সহ যাবতীয় নথি আদালতে জমা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এদিন ইডি আদালতে বলে, ‘আমরা স্কুল বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ায় আছি, কিন্তু আমরা স্কুল বন্ধ করি না’, প্রতীকীভাবে স্কুল বাজেয়াপ্ত করি।’ অন্যদিকে ইডির পাল্টা সৌভিকের আইনজীবীর দাবি, “ ওই স্কুল ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। স্কুলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের জন্য ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সৌভিক। তাছাড়া আর কোনও লেনদেনের কোনও সম্পর্ক নেই তার মক্কেলের।”
আরও পড়ুন: ‘যা করেছি, সবই বোর্ডের নির্দেশে, আর…’, CBI-র চাপে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কৌশিক
এরপর বিচারপতি ইডির উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি অভিযুক্তকে নিয়ে এতটাই সতর্ক, তাহলে কেন এর আগে বাজেয়াপ্ত টাকার বাইরে বাড়তি আর্থিক লেনদেন দিক খোঁজার চেষ্টা করেননি?” এই লেনদেনের মাধ্যমে সৌভিক কীভাবে লাভবান হতেন? এই প্রশ্নও করেন বিচারপতি।
ইডি জানায়, ‘আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতেন মানিক ভট্টাচাৰ্য।’, ইডি আদালতে জানিয়েছে সম্প্রতি ওই স্কুলের একাংশের সহযোগিতাতে তাদের হাতে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।