লক্ষ্মীর ভান্ডারেও দুর্নীতি! ২৬ মাস ধরে যুবকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে টাকা, ধরা পড়তেই যা হল…

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের মহিলাদের জন্য (Laxmi Bhandar) প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ বাবদ দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)। কিন্তু সেই টাকাই গত ২৬ মাস ধরে পাচ্ছিলেন এক যুবক। এমনই ঘটনা ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা গ্রামে।

ব্লক অফিসে ধর্না দিয়ে ফরিদা খাতুন নামে এক মহিলা বারবার এই অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগে আমল দেননি কেউ। কিন্তু কয়েকদিন আগেই সেখানে নতুন বিডিও কাজে যোগ দেন। তা শুনে ফরিদা তাঁর অভিযোগ নিয়ে দু’দিন আগে হাজির হন নতুন বিডিও-র কাছে। দ্রুত দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকা তুলে দেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর (Raghunathganj) বিডিও দেবোত্তম সরকার। এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতিকেও অস্বীকার করছেন না বিডিও। ফরিদার অভিযোগ ছিল, তাঁর টাকাই পাচ্ছিলেন ওই যুবক।

ব্লক অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মাসে মাসে অ্যাকাউন্টে (Bank Account) জমা পড়ার মেসেজ মোবাইলে ফরিদা পেয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেই টাকা তাঁর ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। বিডিও-র তদন্তে ধরা পড়ে, যে অ্যাকাউন্টে ফরিদার টাকা জমা পড়ছে সেটি তাঁর অ্যাকাউন্টই নয়। অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে টাকা।‌ আর সেই অ্যাকাউন্ট এক যুবকের।

সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ২৬ মাস ধরে জমা পড়েছে। সাদেরকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই যুবক তা স্বীকার করেন।

laxmi bhandar widow

এই প্রসঙ্গে বিডিও দেবোত্তম বলেন, ‘মহিলার অভিযোগ পেয়েই তদন্তের ভার দেওয়া হয় এক আধিকারিক চন্দন চৌবেকে। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে ঢুকেছে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা। ওই যুবক স্বীকার করে তার গ্রামেরই বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কও তা খতিয়ে দেখেনি।’ এই ব্যাপারে প্রশাসনিক গাফিলতিও ছিল বলে স্বীকার করে নেন বিডিও। বাইরের দালাল চক্র এই ঘটনায় জড়িত তা জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Monojit

সম্পর্কিত খবর