বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গতকাল আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান (Pakistan vs Afghanistan) ম্যাচে নূর আহমেদের বোলিং ও আফগানিস্তানের টপ অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে আজ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team)। কাল বাবর আজম (Babar Azam) ভেবেছিলেন আফগানিস্তানের কাঁধে একটা বিশাল লক্ষ্যের বোঝা চাপিয়ে দেবেন। বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) বিরুদ্ধে অর্ধশতরানের পর কাল আবার হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবর। কিন্তু ৭৪ রান করা পাক অধিনায়ক ও পাক ওপেনার আব্দুল্লা শফিকের (৫৮) পাশাপাশি পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো ছন্দে থাকা ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ানের উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন আইপিএলে (IPL) গুজরাট টাইটান্সের (Gujrat Titans) নূর আহমেদ (Noor Ahmed)।
শেষদিকে শাদাব খান এবং ইফতিকার আহমেদ ঝোড়ো ব্যাটিং না করলে ২৮২ অবধিও পৌঁছাতে পারত না পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ প্রবল আক্রমণ করে শুরুতেই পাকিস্তান বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। ঠান্ডা মাথায় বড় ইনিংস খেলেন অপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। দুই ওপেনারের মধ্যে ১৩০ রানের পার্টনারশিপ হওয়ার পরই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত ১ ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে স্মরণীয় জয় পায় আফগানিস্তান।
কিছুদিন আগে হার্দিক পান্ডিয়ার চোট পাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানের নেটিজেনরা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম বড় শক্তি হচ্ছেন হার্দিক। তিনি না থাকায় নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল বিপাকে পড়বে এমনটা ভেবে আনন্দিত হয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: কোহলির মুকুটে নতুন পালক! শতরান হাতছাড়া করেও পেছনে ফেললেন এই কিংবদন্তিকে
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে তার জন্যই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে চলেছে পাকিস্তান। গতকাল দুর্দান্ত বোলিং করা নূর আহমেদ আইপিএলে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেন। দলে দেশীয় স্পিনারের অভাব না থাকা সত্ত্বেও রশিদ খানের সাথে তাকে নিয়মিতভাবে খেলিয়ে যান হার্দিক। সেই বড় মঞ্চের চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতা চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই বড় সাহায্য করেছে নূর-কে।
আরও পড়ুন: ১ ম্যাচে ৪ বিশ্বরেকর্ড! দেখে নিন ভারতীয় দলের কোন কোন ক্রিকেটার গড়েছেন ইতিহাস
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তান। চেন্নাইয়ের পিচের চরিত্র বুঝেই এই ব্যবস্থা নিয়েছিল তারা। রশিদ খান এবং মুজিবুর রাহমান গতকাল ব্যর্থ হলেও কৃপণ বোলিং করেছেন মহম্মদ নবী। এরপর শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলকে হারিয়ে আফগানিস্তান যদি বাকি দুই বড় প্রতিপক্ষের মধ্যে যেকোনো একজন কেউ হারাতে পারে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জ্বলজ্বল হয়ে থাকবে। আর তাদের এই স্মরণীয় জয়ের পেছনে কোথাও গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ারও কিছুটা অবদান থেকেই গেল