নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়ার রীতি বিজয়ার দশমীর দিন! কিন্তু কেন জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ বিজয়া দশমী। মায়ের কৈলাস ফিরে যাওয়ার দিন। এদিনটায় প্রত্যেক বাঙালির মন থাকে ভারাক্রান্ত। আবার অপেক্ষা গোটা একটা বছরের। এবছরের মতো শেষবার মায়ের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে আগামী বছরের প্রতীক্ষার কাউন্টডাউন, সবকিছু নিয়েই আজকের বিজয় দশমী।

তবে বিজয় দশমীর সকালের আরো একটি মাহাত্ম্য হচ্ছে নীলকন্ঠ পাখি। বলতে পারবেন দশমীর সকালে কেন আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয় নীলকন্ঠ পাখি? আশ্বিন মাসে ৯ দিন ধরে যে নবরাত্রি চলে তারপরই আগমন হয় বিজয়া দশমীর। কারোর মতে আজকের দিনে মহিষাসুর বধ হয়েছিলেন দেবী দুর্গার হাতে। 

আরোও পড়ুন : বড় বদল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটিতে! এই নিয়ম না জানলে এবার পাবেন হাফ বেতন

আবার কেউ কেউ মনে করেন আজকের দিনে রাবনকে বধ করেছিলেন রাম। তবে মত পার্থক্য যাই হোক না কেন, আজকের দিনের মূল মাহাত্মই হচ্ছে শুভর হাতে অশুভের পরাজয়। একই সাথে আজকের দিনে দেবী দুর্গা ফিরে যান তাঁর শ্বশুর বাড়ি। একাধিক রীতি রেওয়াজ রয়েছে এই দশমীকে ঘিরে। এর মধ্যে অন্যতম দশমীর সকালে আকাশে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো।

আরোও পড়ুন : হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন! খবর প্রকাশ হতেই শোরগোল

মনে করা হয় রাবণকে বধ করার সময় আকাশে রাম দেখতে পেয়েছিলেন নীলকন্ঠ পাখি। পুরাণ মতে তাই নীলকন্ঠ পাখিকে শুভ প্রতীক হিসেবে বিবেচিত করা হয়। তাই মনে করা হয় দশমীর সকালে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে পেলে জীবন থেকে মুছে যায় পাপ এবং পূরণ হয় মনস্কামনা। এছাড়াও আরো একটি মত প্রচলিত আছে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোকে ঘিরে।

neelkanth heaven bird 1603543403807 1603543409147

যেহেতু মহাদেব গরল পান করেছিলেন সেহেতু তাঁকে নীলকন্ঠ বলা হয়ে থাকে। তাই বিজয়ার দিন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়া হলে ভাবা হয় যে মহাদেবকে গিয়ে সেই পাখি খবর দেয় যে দেবী দুর্গা ফিরে আসছেন তাঁর ঘরে। তবে নীলকন্ঠ পাখির সংখ্যা অত্যন্ত কমে যাওয়ায় সরকারিভাবে এই পাখি কেনাবেচা বন্ধ। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় বেআইনিভাবে এই নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা রয়েছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর