বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য। আর এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ। বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির (Nursing Recruitment Corruption) ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল।
ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের অবকাশ কালীন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে, তিনি আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জবাব তলব করেছেন।
ঠিক কী অভিযোগ? গত জুন মাসে জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে পাশ করা নার্সিং প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। এরপর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয় কাছ কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ নেই। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বহু প্রার্থীকে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভূমের মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই দূরের কলেজে যেতে বাধ্য হন প্রথমের দিকে রাঙ্কিং থাকা ওই প্রার্থীরা।
ওদিকে চলতি মাসেই ৫ তারিখ স্বাস্থ্য দফতর তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, কলকাতা তার আশেপাশের জেলায় মোট ৫৭টি আসন শুন্য রয়েছে। তবে যারা আগে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন তারা আর এ বারের কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। আগামী ৩১ অক্টোবর কাউন্সেলিংয়ের শেষ দিন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দুবাই, রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ লজ্জায় ফেলবে পার্থ-অর্পিতাকেও
স্বাস্থ্য দফতরের এই বিজ্ঞপ্তির পর ওই সকল প্রার্থীরা নতুন কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই প্রথম দিকে রাঙ্ক করে বাধ্য হয়ে দূরের কলেজে ভর্তি হওয়া প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাদের অভিযোগ, প্রথমের দিকে র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও তারা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাদের পেছনের দিকে রাঙ্ক তাদের কাছে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, স্বাস্থ্য দফতর ইচ্ছে করেই প্রথমে শূন্য আসন কমিয়ে দেখায় যাতে যোগ্য প্রার্থীরা কাছের জায়গা ছেড়ে দূরের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হন। এই মামলাতেই এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। আজ ফের এই মামলার শুনানি হবে।