বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজো মিটতেই দুর্নীতিকাণ্ডে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিছুদিন আগেই বিশেষ PMLA আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রয়োজনে হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি (ED)। সেই পক্রিয়া শুরু করতে ইতিমধ্যেই SSKM হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছে ইডি। আর এই আবহেই ‘কাকুর’ স্বাস্থ্যের খবর নিতে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে সারপ্রাইস ভিসিটে পৌঁছে যায় ইডি।
সূত্রের খবর, এদিন প্রথমে হাসপাতাল সুপারের ঘরে যায় ইডি আধিকারিকদের একটি টিম। তারপর সেখান থেকে যান কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনেও যান তারা। সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় ইডির।
প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসে নিউ আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি হয় সুজয়কৃষ্ণের। বাইপাস সার্জারির পর থেকেই SSKM এ ভর্তি সুজয়কৃষ্ণ। কিছুদিন আগেও তার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালেই সারপ্রাইস ভিসিটে যায় ইডি। এতদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কী চিকিৎসা চলছে কালীঘাটের কাকুর? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাকে? এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে বয়ান রেকর্ড করছে ইডি। দরকারে এরপর সুজয়কৃষ্ণর চিকিৎসা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে ভর্তি রেখেও করানোর ভাবনা চলছে।
আরও পড়ুন: ‘নাম বলাতে গোপনাঙ্গে…’, সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ED নিয়ে বিস্ফোরক মমতা, যা যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার প্রসঙ্গও সামনে আসে। ইডির দাবি, রাহুলকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে।
ইডির দাবি সুজয়কৃষ্ণ রাহুলকে ফোনে থাকা কুকীর্তির কিছু তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। তবে সত্যিই সেই কণ্ঠস্বর যে সুজয়কৃষ্ণেরই কী না তা এখনও জানা যায়নি। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহের জন্য আদালতের অনুমতিও মিললেও সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার কারণে তা এখনও নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে রাখা হয়েছে কাকুকে। সুজয়বাবুর চিকিৎসায় কার্ডিওলজি, কার্ডিওথোরাসিক, মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি ও সাইকিয়াট্রি স্পেশালিটির চিকিৎসকরা নিয়োজিত রয়েছেন।