বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি, পুর দুর্নীতি অতীত। বর্তমানে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) তোলপাড় রাজ্য। সম্প্রতি এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালু (Enforcement Directorates)। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর থেকেই ইডির হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এরই মধ্যে রেশন দুর্নীতিতেও উঠে আসছে হাওয়ালা যোগ।
পূর্বেই ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচাররের মত রেশন দুর্নীতির টাকার একটা বড় অংশও হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাচার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, এই দুর্নীতির প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাচার হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্তে এই নিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র পেয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই এগোচ্ছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লা পাচারের টাকা হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাচার করার ক্ষেত্রে বিদেশি মহিলাদের যোগ আগেই মিলেছে। এবার রেশন দুর্নীতিতেও এক মহিলা (Female) ইডির স্ক্যানারে। সেই মহিলার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। সূত্রের খবর, এই মহিলা বাঙালি হলেও বর্তমানে কর্মসূত্রে বিদেশে রয়েছেন। যদিও সেই মহিলা কোন দেশে থাকেন সেই নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফের খেল দেখাবে আবহাওয়া! দীপাবলির আগেই দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টি, উত্তরেও তাণ্ডব
এই মহিলার সঙ্গে ধৃত বাকিবুরের বেশ কিছু কথোপকথন ইডির হাতে এসেছে। পাশাপাশি বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও বহু তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি। ইডির অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে থাকা ওই মহিলা মারফত বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইডির স্ক্যানারে এখন ওই বিদেশী রমণী।
ইতিমধ্যেই ওই মহিলার নাম ও ঠিকানার ইডির হাতে এসেছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং আয়কর দফতরের সাহায্য নিয়ে তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে ইডি। হাওয়ালা মারফত টাকা পাচারের ঘটনায় বাকিবুর ও জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ এক হিসেবরক্ষক ইডির আতসকাঁচের নীচে। তাকে তলবও করা হয়েছে।
ওদিকে বাকিবুরের দুবাইয়ে প্রচুর সম্পত্তির হদিস মিলেছে। দুবাইয়ে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। এই বাকিবুরই দুবাই গিয়ে নামে ও বেনামে ভুয়ো সংস্থা খুলে সেখানে দুর্নীতির টাকা জমা করতেন। এরপর সেই টাকা ওই বাঙালি মহিলা বিভিন্ন বিদেশী সংস্থায় বিনিয়োগ করতেন। দুর্নীতির টাকা বিদেশে বিনিয়োগে তিনি মিডিলম্যানের কাজ করতেন। এই মহিলা একটি জেলার প্রাক্তন এক পুরকর্তার আত্মীয় বলেও জানা গিয়েছে।