বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam Case) গ্রেফতার দুই। প্রথমে ব্যবসায়ী বাকিবুর (Bakibur) আর তারপর তার সূত্র ধরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। গ্রেফতারির পর থেকে এই দুইয়ের যোগসূত্র খুঁজতে মরিয়া ইডি। তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে তা কী আদালতে প্রমাণের জন্য যথেষ্ট? পূর্বে যে তথ্য ইডি আদালতে দিয়েছিল তা রেশন দুর্নীতি প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয় এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছিল বিচারকের কথায়।
গত সপ্তাহে টানা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুকে। তারপর থেকে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি (Enforcement Directorates)। আগামীকাল সোমবার জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে যেদিন বালুকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল সেদিন ইডিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেছিলেন, ” বাড়ির ভিত খুব নড়বড়ে।”
এই অবস্থায় চাপে ইডি। কারণ আগামীকাল আদালতে ‘পাকা’ প্রমাণ দিতে না পারলে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। ওদিকে আত্মবিশ্বাসী জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন আগামীকালই সব সামনে আসবে।
আরও পড়ুন: ১৯ ঘন্টা তল্লাশি! বনগাঁয় ব্যাগের পর ব্যাগ ভর্তি করে টানতে-টানতে কী নিয়ে গেল ED? অবশেষে জানা গেল
শুক্রবারই বিস্ফোরক দাবি করে জ্যোতিপ্রিয় জানায়, “বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। মমতাদি সব জানে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। দুদিনের মধ্যে সব প্রকাশ্যে আসবে দুদিনের মধ্যে। ইডি হেফাজতেও নিজেকে মুক্ত বলে দাবি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর।”
৬ তারিখের মধ্যে সব প্রমাণ করে দেব বলে উচ্চস্বরে চিৎকার করেন মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন, কিসের জোরে এমনটা বলছেন বালু? তাহলে কী সত্যিই তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি ইডি? সবটাই ষড়যন্ত্র? কিসের খোলাসা করবেন তিনি আগামীকাল? জোড়ালো হচ্ছে জল্পনা।
তবে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সল্টলেকে এক প্রোমোটারের বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের বৈঠক চলত। দুর্নীতির বৈঠক। যদিও গোটা বাড়িতেই সিসিটিভি বসানো ছিল। তাই বৈঠকের সত্যতা প্রমাণ করতে হলে ইডিকে আদালতে জমা দিতে হবে সিসিটিভি ফুটেজও। নয়তো প্রমাণ ছাড়া সবই বৃথা।
এছাড়া আদালতে তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অমিত দে এবং অভিজিৎ দাসকে তলব করে বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। যদিও অভিজিৎ দাস সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, তিনি মন্ত্রীর পিএ ছিলেন। ওদিকে মন্ত্রীর সূত্র ধরেই খড়দার মধ্যপাড়ার বড়িশাল পল্লীর বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছন হানা দেয় ইডি। বহু ঘন্টা চলে তদন্ত। সেখান থেকেও বেশ কিছু তথ্য ইডির হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর।