বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট আবহে তোলপাড় ছত্তিশগড়ের রাজনীতি। মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোট শুরু হতে চলেছে। আর তার আগেই বিরাট চাপে ভূপেশ বাঘেল। মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ (Mahadev App) কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালো ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর (CM Bhupesh Baghel)। আর দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলেন খোদ অ্যাপের কথিত মালিক শুভম সোনি। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল গোটা দেশে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপির তরফ থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ্যে আনা হয়। যেই ভিডিও তে শুভম সোনি দাবি করেন মহাদেব বেটিং অ্যাপের মালিক তিনিই। শুধু তাই নয়, এরপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি বলেন, ভূপেশ বাঘেলই নাকি তাকে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এর আগেও মহাদেব অ্যাপ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে বিজেপির নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মহাদেব অ্যাপের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস এবং বাঘেলকে একজোটে তোপ দেগেছেন। আর এই উত্তপ্ত আবহেই এবার বিজেপি তরফে যেই ভিডিও সামনে আনা হল তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল মন্ত্রীমশাইয়ের জন্য।
আরও পড়ুন: এবার ED-র হাতে আরও এক ‘রহস্যময়’ ডায়েরি! কাদের কাছে কত তে পাচার? সব ফাঁস
প্রসঙ্গত, পূর্বেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি দাবি করেছিল, ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছিল মহাদেব বেটিং অ্যাপের প্রোমোটাররা। এদিকে শুভম সোনি নিজের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্ট দেখিয়ে শুভম সোনিবলেন,’ কাকে কত টাকা, কখন, কী পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে সেই সব আমি আমার লিখিত বক্তব্যে স্পষ্ট জানিয়েছি। সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমি দেশে ফিরতে চাই। আমাকে ভারতে আসতে সাহায্য করুন’। অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে তিনি জানান, শুভম সোনিকে তিনি কখনও দেখেনই নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই অ্যাপ কেলেঙ্কারি মামলায় অসীম দাস এবং ভিম সিং যাদব নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি। গত বৃহস্পতিবার রায়পুরের এক হোটেল থেকে পুলিশ দ্বারা উদ্ধার হয় নগদ ৫.৩৯ কোটি টাকা। গ্রেফতারির পর অসীম দাস বলে, বাঘেল নামক এক রাজনীতিবিদকে এই টাকা দিতে এসেছিল, যেই টাকা দুবাই থেকে পাঠানো হয়েছে। জানিয়ে রাখি, গত কয়েক মাসে এই মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।