বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘এলিয়েন’ (Alien) অর্থাৎ ভিনগ্রহী, এই বস্তটিকে নিয়ে উৎসাহিত নয় এমন মানুষ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে আসছে এই ধারনা। বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন সংস্থা প্রতি বছর গ্যালন গ্যালন টা কাখরচ করে আসছে এই ‘এলিয়েন’দের রহস্যভেদ করার জন্য। মানুষের কল্পনাপ্রবণ মন এঁকে নিয়েছে অদ্ভুত ধরণের কিছু চরিত্রকে। আদৌ এরকম কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এলিয়েনদের উপস্থিতি নিয়ে এক বড় তথ্য জানিয়েছেন। এমনিতেও দেশের বিজ্ঞানীরা বরাবর এটাই বিশ্বাস করে এসেছেন যে, মহাকাশে এমন কিছু গ্রহ থাকতে পারে যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছে যে, ইউরেনাস গ্রহে ইনফ্রারেড নর্দান লাইট অর্থাৎ অরোরার দেখা মিলেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ইউরেনাস গ্রহের এ লাইট বা অরোরা এলিয়েনদের সম্ভাব্য অস্তিত্বের বিষয়ে বড় প্রমাণ দিতে পারে। পাশাপাশি এই আবিষ্কারটি থেকে এটাও বোঝা যাবে যে, পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোনো গ্রহের অস্তিত্ব আছে কী না! সেটা কি আমাদের পৃথিবীর মতোই নাকি এই ধরিত্রীর থেকে আলাদা কিছু? কৌতূহলীদের কৌতূহল মিটতে পারে এই আবিষ্কারের পর।
আরও পড়ুন : OYO বুক করে মস্তি করার দিন শেষ! কাপলদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে নয়া নিয়ম আনল সংস্থা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই আবিষ্কারটি প্রকাশ করেছেন লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমা থমাস। জানিয়ে দিই, তিনিই হচ্ছেন এই গবেষণার প্রধান লেখিকা। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “ইউরেনাসের তাপমাত্রা মডেল অনুমানের চেয়ে কয়েকশো ডিগ্রি কেলভিন/সেলসিয়াস বেশি। এটি আমাদের সামনে একটি বড় প্রশ্ন যে কিভাবে এই গ্রহটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি গরম হতে পারে?”
এইদিন এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন ‘ইউরেনাসের অরোরা বিশ্লেষণ করে আমরা এর বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্রকে স্টাডি করার পাশাপাশি নতুন জীবনের বসতি সম্পর্কে গবেষণা করতে পারি।’ এমা থমাসের সংযোজন, “বরফের দৈত্যাকার অরোরা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বিস্তৃত হবে এবং আমাদের সৌরজগত, এক্সোপ্ল্যানেট এমনকি আমাদের নিজস্ব সৌরজগতের গ্রহগুলির চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরও বাড়বে।”
আরও পড়ুন : এবার বাংলায় বড় দুর্ঘটনা! আবারও লাইনচ্যুত হল বগি, প্রশ্নের মুখে রেল কর্তৃপক্ষ
ইউরেনাসের উপগ্রহের গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে আছে এলিয়েন: চলতি বছরের শুরুতে একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, ইউরেনাসকে প্রদক্ষিণরত ২৭ টি উপগ্রহের মধ্যে দু’টি উপগ্রহের মহাসাগর থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সেই মহাসাগরের নীচেও এলিয়েন থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে প্রধান বিজ্ঞানী মিশেল ডগার্টির দাবি, বৃহস্পতির শীতল উপগ্রহগুলির মধ্যে কোনো একটিতে প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে।