বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলা (Ration Scam Case) শোরগোল গোটা রাজ্যে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ও তার ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। আপাতত ইডি হেফাজতে কড়া জেরার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তাদের। চলছে তদন্ত। আর ইডির (Enforcement Directorates) হাতে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।
ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতিতে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে। দুর্নীতির টাকা কিভাবে কোথায় পৌঁছায় সেই সূত্র খুঁজে পেতেই এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, ব্যবসায়ী, রেশন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন দোকানে মালিকদের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সক্রিয় ছিল কিছু পেশাদার হিসাবরক্ষকেরও।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এক হিসাবরক্ষকের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। জ্যোতিপ্ৰিয় গ্রেফতারির পর তার দুই আপ্তসহায়ক ও বাকিবুরের শ্যালক অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই রকম পেশাদার হিসাবরক্ষকদের বহু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে।
আরও পড়ুন: ‘ভাইপো বেলুন ফাটিয়ে দিয়েছে…’, একের পর এক বিস্ফোরণ, শুভেন্দুর মন্তব্যে তুঙ্গে শোরগোল
ইডির দাবি, প্রতি এলাকায় সরকারি প্রকল্পের রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে টাকা তোলার সক্রিয় ভূমিকায় কাজ করত রেশন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও রেশন দোকানের মালিকদের একাংশ। গোটা সপ্তাহ ধরে এই ভাবে টাকা তুলে শেষে তুলে দেওয়া হত বাকিবুরের হাতে। এরপরই খাদ্য দুর্নীতিতে এন্ট্রি নিতেন হিসাবরক্ষকেরা।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর দ্বারা ওই সমস্ত হিসাবরক্ষকদের নিয়োগ করা হত। যারা কালো টাকার খুঁটিনাটি হিসেব রাখত। ইডি সূত্রে খবর, কালো টাকা সাদা করতে একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল। পাশাপাশি বিদেশে কিভাবে কালো টাকা বিনিয়োগ করা হবে এই সমস্ত দিকে নজর রাখতেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ওই সকল হিসাবরক্ষকেরা। দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে এবার সেই সকল হিসাবরক্ষকদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।