বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দ্বিতীয় জয়নগর! ফের খুন তৃণমূল নেতা। এবার বোমা মেরে খুন করা হল আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধানকে (Amdanga Panchayat Pradhan)। নেপথ্যে কারা? কেন এভাবে খুন? ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। পরপর তৃণমূল নেতা (TMC Leader) খুনের ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত তৃণমূল নেতার নাম রূপচাঁদ মণ্ডল। আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙা থানার কামদেবপুর হাটে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বসেছিলেন রূপচাঁদ। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা তার উপর ঝাঁপিয়ে পরে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় প্রধান যখন হাটে বসে ছিলেন সেই সময় হঠাৎই তার ফোন আসে। তাই সেখান থেকে উঠে মোবাইল ফোন কানে দিয়ে যখন তিনি হাট থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে পেছন থেকে বোমা ছোঁড়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রূপচাঁদ।
তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থা বুঝে এরপর সেখান থেকে বারাসতের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাঁচানো যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা রূপচাঁদের।
আরও পড়ুন: ‘গরিবের চোখের জলের হিসাব কেউ নেননি, সময় এসে গিয়েছে’, ভরা এজলাসে যা বললেন বিচারপতি
দুষ্কৃতীরা হামলার পরই সেখান থেকে চম্পট দেয়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে খবর। তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার পর গতকাল রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান।
রফিকুর রহমান জানান, এলাকায় দলের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই। কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। ওদিকে মৃত তৃণমূল নেতার বাবার দাবি, নিজের দলের লোকেরাই ওঁর উন্নতি সহ্য করতে না পেরে খুন করেছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার জয়নগরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের খুন আরেক তৃণমূল নেতা।