বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল (ICC World Cup Final 2023)। রবিবার দুপুরের ভাতঘুমকে দূরে ঠেলে টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন আপামর বাঙালি। ইডেনে খেলা হলে হয়তো আলাদাই হত। নেতা-মন্ত্রীরা যেতেন, আলাদা গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইডেনের বক্সে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। গিয়েছিলেন মদন মিত্রও। বাইরে থাকলে হয়তো পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়রাও (Partha Chatterjee & Jyotipriya Mallick) যেতেন।
কিন্তু কী আর করা যাবে! ভাগ্য সহায় নেই। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের কয়েদি। কিন্তু তাঁরা কি রবিবার জেলে বসে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে পারবেন? শুধু এই দুই বিধায়ক নন, জেলে রয়েছেন পলাশিপাড়া ও বড়ঞার দুই তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। ফলে পহেলা বাইশ ওয়ার্ড কার্যত এখন এমএলএ (MLA) ব্লকে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাত নামলেই কলকাতার পারদ ২০-র নীচে! অবশেষে শীতের আগমনী বার্তা, কী জানাল হাওয়া অফিস?
কিন্তু কী বলছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের (Presidency Jail) নিয়ম? জানা যাচ্ছে, প্রতিটি ওয়ার্ডেই টেলিভিশন রয়েছে। সেখানে বন্দিরা টেলিভিশন দেখেন। এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। এ-ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, চাইলে জ্যোতিপ্রিয়, পার্থেরা খেলাও দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষে আলাদা কোনও নিয়ম নেই। সকলের জন্যই এক নিয়ম।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলের নিয়ম অনুযায়ী রাত্রি সাড়ে ৯টার পরে টেলিভিশনের শব্দ পুরোপুরি কমিয়ে দিতে হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচই দিনরাতের। খেলা শুরু হয়েছে বেলা ২টোয়। শেষ হতে হতে অন্তত রাত সাড়ে ১০টা। যদি না সেই ম্যাচ একেবারেই ‘লো স্কোরিং’ হয়। তাহলে ম্যাচ রাত অবধিই গড়াবে। রবিবার ফাইনালও শুরু বেলা ২টোয়। ফলে ম্যাচ যদি টানটান হয়ে ওঠে, খেলা যদি রাত সাড়ে ৯টার বেশি গড়ায়, তাহলে পার্থ, বালু, মানিক, জীবনেরা খেলা দেখলেও তাঁদের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ, আওয়াজ করা চলবে না। ভারত বিশ্বকাপ জিতলে জয়ধ্বনিও দিতে পারবেন না জেলবন্দি বিধায়কেরা।