বাংলা হান্ট ডেস্ক : নানান জটিলতায় এতদিন আটকে ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) শিক্ষকদের পদোন্নতি। অবশেষে সেই জটিলতা কাটিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের (Recruitment) প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও নাকি স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের। এমনকি ঘোষণার পর এখনও প্রায় ২৫০ জন শিক্ষকের নিয়োগ হয়নি বলে খবর।
সম্প্রতি খবর মিলেছে, বেশ কয়েকজন নাকি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করছে। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ১৫ তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রতিনিধিরা এবং রাজ্য নেতৃত্বরা। সেখানেই শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ ব্যবস্থা নিয়ে সুর চড়ালেন বিক্ষোভকারীরা।
এইদিন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সতীশ সাউ বলেন, ‘রাজ্যের পাশাপাশি জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের যে প্রক্রিয়া হয়েছে তা স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থেকেও প্রধান শিক্ষকের মর্যাদা না দিয়ে নতুন যুবকদের দায়িত্ব দেওয়া, দূরে পাঠানো, কাটমানি নেওয়া সব একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এখনও জেলায় প্রায় ২৫০ জন পদে যোগদান করেনি। আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি অনেকেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন : সুপ্রিম নির্দেশই শিরোধার্য, বড় ঘোষণা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের! বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা
যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এই অভিযোগ মানতে নারাজ। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনেই আমরা নিয়োগপত্র দিয়েছি। বিভিন্ন কারণে অনেকে যোগদান করেননি। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ে শূন্য পদের নিয়োগ করা হবে। নিয়োগের আগে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মধ্যদিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত ওয়েব সাইটে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যাতে সকলেই তা দেখতে পান।’
আরও পড়ুন : তড়িঘড়ি তলব নেতাদের! এবার কি বৃহত্তর আন্দোলনে মমতা ব্যানার্জি? তৎপরতা ঘিরে জল্পনা
পাশাপাশি এইদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ২০২৪ সালের আগেই প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। নতুন করে শিক্ষক সংগঠনেক অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।’