বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শীতের মরশুম প্রায় উপস্থিত বললেই চলে। যত দিন এগোচ্ছে ততই নিম্নমুখী হচ্ছে পারদ। এমতাবস্থায় রুম হিটার (Room Heater) থেকে শুরু করে গিজারের (Geyser) মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলির কেনাকাটা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। তবে, অনেকেই অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সস্তায় খারাপ মানের গিজার কিনে ফেলেন। যদিও, বিষয়টি ডেকে আনতে পারে বিপদ। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা গিজার সম্পর্কিত কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ উপস্থাপিত করছি। অবশ্যই এগুলি আপনার কাজে আসতে পারে।
গিজার কেনার সময়ে সতর্ক হন: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, গিজার কেনার সময়ে আইএসআই চিহ্নিত গিজার বেছে নিতে হবে। এছাড়াও, বাথরুমে গিজার লাগানোর ক্ষেত্রে নিজে সেটি না করে অবশ্যই একজন মেকানিকের সাহায্য নিন। কারণ, সঠিকভাবে গিজার ইনস্টল না করলে সেটি বিপদ ঘটাতে পারে। এর পাশাপাশি যদি গিজারটি অনেক বছর আগে ইনস্টল করা হয়ে থাকে এবং গত মরশুমের পর এটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়, তাহলে সার্ভিসিং ছাড়া গিজার ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও, এটা মাথায় রাখবেন, গিজারের তার যদি তামার তৈরি না হয় তাহলে সেটি ফেটে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাই, গিজার লাগানোর পর দেখে নিন আর্থিং ঠিক আছে কি না।
আরও পড়ুন: আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা! আসতে চলেছে “মেড ইন ইন্ডিয়া টেসলা”, সামনে এল বড় তথ্য
গিজার বন্ধ করুন: জল গরম করার পর গিজার বন্ধ করা খুবই জরুরি। এটি করা না হলে টাইম বোমের মতো গিজার বিস্ফোরণ হতে পারে। শীতের দিনে এমন অনেক ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। তবে, আপনি যদি একটি অটোমেটিক গিজার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে সেটি জল গরম হওয়ার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ, এটিতে সুইচ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: সারারাত ছুটবে বন্দে ভারত! যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই রুটে বিশেষ পরিষেবা শুরু রেলের
রয়েছে শকের ঝুঁকি: বিদ্যুত চালিত প্রতিটি আইটেমেই বৈদ্যুতিক শকের ঝুঁকি রয়েছে। অতএব, বাথরুমে গিজার বসানোর সময়, আপনার এটি এমন উচ্চতায় ইনস্টল করা উচিত যাতে সেটি শিশুদের নাগালের বাইরে থাকে। এটি করার মাধ্যমে আপনি বাচ্চাদের এবং নিজেও বৈদ্যুতিক শকের বিপদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকবেন।
আপনি যদি বাথরুমে গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত একটি গিজার ইনস্টল করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেখানে একটি এক্সজস্ট ফ্যান ইনস্টল করুন। মূলত, গ্যাস সিলিন্ডারের গিজার থেকে প্রোপেন এবং বিউটেন গ্যাস বের হয়। যা পরবর্তীতে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। এমতাবস্থায়, বাথরুমে যদি এক্সজস্ট ফ্যান না থাকে, তাহলে সেই গ্যাস বাথরুমে ভরে যাবে এবং আপনি অজ্ঞানও হয়ে পড়তে পারে। যার ফলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।