বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসুস্থ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। দু পা ফুলে থাকায় বৃহস্পতিবার আদালতে এলেও শুনানি কক্ষে যেতে পারেননি বিধায়কবাবু। কারণ শুনানি কক্ষে যেতে হলে সিঁড়ি চড়তে হত। আর তাতেই পার্থর সমস্যা হচ্ছিল।
পার্থর পা ফুলে ঢোল
মক্কেলের অসুবিধার কথা পার্থর আইনজীবী বিচারককে জানালে বিচারক, কোর্ট লকআপ চত্বর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অভিযুক্তকে হাজিরা করানোর অনুমতি দেন। কোর্ট লকআপে ভিডিও কলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। কিন্তু কোর্ট ইন্সপেক্টর জানান, লকআপের ভিতর নেট কানেকশন নেই।
ফের জেল হেফাজত
যদিও এরপর বিল্ডিংয়ের বাইরে থেকে নেট কানেক্ট করানোর নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ কল বা জুম কলে আমি শুনব ওর (পার্থ) যদি কিছু বলার থাকে। আদালতের নির্দেশ মত ভার্চুয়াল শুনানিতেই যোগ দেন পার্থ। তবে এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, এদিন পার্থর তরফে তার জামিনের আবেদন করা হয়নি।
মমতার মুখে পার্থর নাম
একদিক থেকে দুঃখের দিন হলেও বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে পার্থর নাম। গতবছর জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই পার্থকে দলের সমস্ত জায়গা থেকে মুছে দেয় তৃণমূল। তার নাম নিতেও অনীহা দলের। তবে এদিন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে জেলবন্দি পার্থর নাম।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে নিয়ম! পরীক্ষার কিছুদিন আগে TET নিয়ে বিরাট আপডেট দিলেন পর্ষদ সভাপতি
বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠক থেকে রীতিমতো গর্জে ওঠেন মমতা। এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের চার নেতাকে নিয়ে মমতা বলেন, ” আজ কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। তাই হাসছেন আর ভাবছেন এটাই চলবে? আগামীদিনে কোথায় থাকবেন? যখন ক্ষমতা থাকবে না কোথায় যাবেন? ” এখানেই শেষ নয়, এরপর সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “আমাদের দলের চার বিধায়ক (পার্থ, মানিক, বালু, জীবনকৃষ্ণ) হয়েছেন। ওরা যদি এদের জেলে রাখে, তাহলে আমি পুরনো কেস রিওপেন করে পাল্টা ৮ জনকে জেলে ভরে দেব।”
গলছে বরফ?
গ্রেফতারির পর বালু, কেষ্টর নাম হামেশাই শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। তবে পার্থর নাম শুনলেও নিজেদের দশ হাত দূরে রাখতেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে বহুদিন প্রায় একবছর পর মমতার মুখে পার্থর নাম উঠে আসার বিষয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।