বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তপ্ত কলকাতা (Kolkata)। জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) ভাসানে গান চালানো নিয়ে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে এবং তা থেকেই ঘটে যায় খুনের মত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে চিংড়িঘাটা (Chingrighata)।
ঠিক কী ঘটেছিল?
শোনা যাচ্ছে, শনিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন হচ্ছিল চিংড়িঘাটার বাসন্তী দেবী কলোনি এলাকায়। সেখানেই বচসার সূত্রপাত হয় জোরে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে। সেই বচসা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। এরপরই কাঁচি নিয়ে সাহেবের (২২) দিকে তেড়ে যান বিট্টু। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে দফায় দফায় চিংড়িঘাটা এলাকায় অবরোধ, প্রতিবাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্য্য ‘জলসা’ ছাড়তেই শুরু সম্পত্তি ভাগ! মেয়ে শ্বেতাকে কোটি টাকার বাংলো লিখে দিলেন অমিতাভ
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?
মর্মান্তিক এই ঘটনার মূল অভিযুক্তের নাম বিট্টু সর্দার। সে ওই এলাকারই যুবক। স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও একাধিক দুস্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। যদিও এই ঘটনার পরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিট্টু। এমতাবস্থায় পুলিশ তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
আরও পড়ুন : এই কাজটি না করলেই গুনতে হবে বেশি টাকা! LPG সিলিন্ডার নিয়ে জারি নয়া নিয়ম
রাস্তাতেই গণপ্রহার
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এইদিন হঠাৎ করেই বাড়ি ছাড়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত বিট্টু। স্থানীয়রা তা দেখে ফেললে গাড়ির উপর চড়াও হন সবাই। রাস্তাতেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
রণক্ষেত্র চিংড়িঘাটা
যদিও চিংড়িঘাটার ক্ষোভ এখনও জারি রয়েছে। এইদিন দফায় দফায় প্রতিবাদ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। ঘটনা প্রসঙ্গে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, ‘আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আমরা তো বিচার দিতে পারি না। আদালত এই ঘটনার বিচার করবে। তবে আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতার করে আদালতের সামনে হাজির করব। সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হবে।’