বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘূর্নিঝড় মিধিলির (Cyclone Midhili) দাপট থামার পর খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল দেশের মানুষ। যদিও প্রকৃতির মর্জি তো অন্যকিছু। দিনকয়েক আগেই আবারও তৈরি হয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। গত রবিবার সেটির অবস্থান ছিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ থাইল্যান্ডের উপর। এরপর গতকালকের মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্নাবর্তটি পরিনত হয়েছে নিম্নচাপে।
মৌসম ভবন (India Meteorological Department) বলছে, এই নিম্নচাপটি এখন অবস্থান করছে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীর উপর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নিম্নচাপটি ক্রমেই পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এবং আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এটি। এবং ক্রমেই সেটি নিজের শক্তি বাড়াবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
হাওয়া অফিসের খবর, গভীর নিম্নচাপটি আগামী দুই দিনের মধ্যে গভীর ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’এ (Cyclone Michaung) পরিণত হবে। এবং তার প্রভাবে বঙ্গে শীতের আগমন বিঘ্নিত হবে। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বুধবার থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সপ্তাহান্তে উপকূলীয় এলাকাগুলির হাওয়া বদলের সম্ভাবনা প্রবল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মত জেলাগুলিতে তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ১৫-১৬ ডিগ্রির ঘরে। নতুন করে পারদ নামার সম্ভাবনা কম।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারি বা মাঝারি বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দার্জিলিং কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে বলেই খবর। অন্তত আগামী পাঁচদিন এই নিম্নচাপ বা সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব নেই বলেই ধারণা।
কলকাতার আবহাওয়া
আবহবিদদের পূর্বাভাস, কলকাতার (Kolkata) আকাশে কালো মেঘের ছায়া পড়ার সম্ভাবনা নেই। সকাল সন্ধে শীতের হালকা আমেজ থাকলেও পারা চড়বে বেলার দিকে। তবে হাওয়া বদল হতে পারে বুধবার। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ জায়গায়। মঙ্গলবার এবং বুধবার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তারসাথে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া ইতিমধ্যেই আজ থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবিদেরও আন্দামানসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।