বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকারের সাথে অভাব্য আচরণের কারণে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। আর এবার সেই বিষয়টাকেই ইস্যু করে সুর চড়ালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহের (Amit Shah) স্পষ্ট কথা, ‘শুভেন্দুকে বিধানসভার বাইরে বের করতে পারলেও বাংলার মানুষকে চুপ করাতে পারবেন না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯ বছর পর ধর্মতলায় সভা রেখেছেন অমিত শাহ। সকাল থেকে গ্রাম উজিয়ে শহরে এসেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। লোকসভা ভোটের আগে ঠিক কী বার্তা দিলেন অমিত শাহ? তেইশ মিনিটের ভাষণে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে বিঁধতে ঠিক কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছে ‘হাইকম্যান্ড’।
আরও পড়ুন : ‘লোকসভায় মমতাকে সাসপেন্ড করুন’, বিধানসভা থেকে নির্বাসিত হতেই পালটা তোপ দাগলেন শুভেন্দু
এইদিন ধর্মতলার সভার শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছিল শুভেন্দুর নিশানায়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করা হয়। বলা হয়, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেননা তিনি। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে অমিত শাহ বলেন, “কান খুলে শুনুন, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বের করতেই পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করাতে পারবেন না।”
আরও পড়ুন : CAA কেউ রুখতে পারবে না’, লোকসভা ভোটের আগে ‘মমতা’র সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গেলেন শাহ
এমনিই এইদিন সবার নজর ছিল অমিত শাহের বক্তব্যের দিকে। তার উপর তিনি শাসকদলকে যেভাবে বিঁধছিলেন তাতে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহের শেষ ছিলনা। অমিত শাহের কথায়, ‘মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছেন দিদির সময় শেষ। এবার পরিবর্তন হবেই।’ তার সাথেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করলে তবেই বাংলায় শান্তি ফিরবে।
এসবের পাশাপাশি বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”মোদিজি নিজের মতো করে বাংলার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন। কিন্তু তৃণমূলের সিন্ডিকেটের জন্যই তা বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। বাংলা জুড়ে শুধুই অশান্তি, আর সিন্ডিকেট রাজ। মানুষ এই অশান্তি থেকে মুক্তি চায়। আগে বাংলায় রবীন্দ্রসংগীত শোনা যেত। এখন চারপাশে শুধুই বোমার শব্দ।”