বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত বহু সময় ধরে বিশ্বের নানান প্রান্তে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তারফলে মুদ্রাস্ফীতির মত ঘটনার প্রাদুর্ভাব মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। বৈশ্বিক সমস্যার আঁচ ভারতের বাজারেও এসেছে। যদিও সেইভাবে আঁচড় কাটতে পারেনি ভারতের (India) বুকে, তাও মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বেড়েছে বই কমেনি।
রান্নার তেল (Cooking Oil) থেকে শুরু করে গ্যাস সিলিন্ডার, শাকসবজি মাছ মাংস সমস্ত কিছুর দাম বাড়ার (Price Hike) কারণে সাধারণ মানুষের পকেটের হাল বেহাল হয়েছে। কিন্তু সবারই তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতে চলেছে। খবর আসছে যে, শীঘ্রই দাম কমবে ভোজ্যতেলের। লেটেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজের দাম হ্রাস পেয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে এবার আমদানি করা তেলের দাম কমতে চলেছে। জানা যাচ্ছে যে, গত প্রায় তিন মাস ধরে আমদানি করা ভোজ্যতেল প্রতি কেজি ২-৩ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাই দাম কমেছে সর্ষে, সয়াবিন, তুলা এবং চিনাবাদাম তেলের। উল্লেখ্য যে, সর্ষে, চিনাবাদাম এবং সূর্যমুখী ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নীচে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন : খেলাতে ভারত হারলে বাংলাদেশিরা এত উল্লাস করে কেন ? জানুন এর পেছনের আসল কারণ
বর্তমানে ৬০-৭০ শতাংশ ছোট তেল মাড়াই মিল বন্ধ রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় চিনাবাদাম এবং সূর্যমুখীর মতো তৈলবীজ বপনের আওতাধীন এলাকা হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের ২.৭ লক্ষ হেক্টর থেকে কমে ১.৮০ লক্ষ হেক্টরে নেমে এসেছে চিনা বাদামের দাম।
আরও পড়ুন : ‘DA বাধ্যতামূলক নয়, সরকার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ তো করে দিয়েছে’, সরকারি কর্মচারীদের কড়া বার্তা মমতার
এদিকে দাম কমেছে অপরিশোধিত ঘি এর। টিন প্রতি দাম নেমে এসেছে ১,৭৮৫-১,৮৯৫ টাকাতে। পাইকারি সরিষার দাম কুইন্টাল প্রতি ১০০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫,৬৫০-৫,৭০০ টাকায় । সর্ষের তেলের দাম কেজিতে ২৫০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১০,৫০০ টাকাতে। কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল বিকোচ্ছে ১,৭৮৫-১,৮৮০ টাকা এবং ১,৭৮৫-১,৮৯৫ টাকা প্রতি টন।