বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডেরএকটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রায় দিয়েছিল যারা ১৮ মাসের ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ওই প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র চাকরিরত শিক্ষকদের জন্য। তবে পরে দেখা যায়, যারা এখনও চাকরি পাননি তারাও ওই দেড় বছরের ওই প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির আবেদন করছেন। এই সকল প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এবার সেই সুপ্রিম নির্দেশকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)।
সুপ্রিম নির্দেশকে মান্যতা বিচারপতির
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ওই ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২০০০। সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে এদিন সেই সব পরীক্ষার্থীকে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
ঝুলে রইল ১২০০০ এর ভবিষ্যত
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাকরিরতদের জন্য দেড় বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল (এনআইওএস)-এর মারফত ‘ওপেন অ্যান্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং’ কোর্স শুরু হয়। কেবল চাকরিরতদের জন্য হলেও দেখা যায় এখনও চাকরি পাননি এমন অনেক প্রার্থীও ওই দেড় বছরের ওই প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির আবেদন করছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে CBI তল্লাশির দিনই নারদ মামলায় আদালতে হাজির শোভন, মদন, ববি, তারপর?
সুপ্রিম নির্দেশের পর এদিন এই সকল পরীক্ষার্থীদের নিয়ে পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি। আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে পর্ষদকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে আদালতকে। বিচারপতির এই নির্দেশে এবার সেই সকল পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশই নিতে পারবেন না এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন আপাতত ৪ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশের উপর ঝুলে রইল ১২০০০ এর ভবিষ্যত।