বাংলা হান্ট ডেস্ক : গ্রাম পঞ্চায়েতের এস্টিমেটে রডের কথা লেখা থাকলেও ICDS কেন্দ্রের সোকপিট ঢালাই হচ্ছে বাঁশের বাতা দিয়েই। বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই হুলস্থুল কাণ্ড বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরে (Kotulpur)। বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে কাটমানি যে সর্বত্রই সেকথা আরো একবার প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা। চলুন জেনে নিই ব্যাপারটা ঠিক কী ঘটেছিল?
শুরু হয়েছিল সোকপিটের কাজ
মিডিয়া সূত্রে খবর, স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৭০ টি টিউবওয়েলের পাশে ঢাকা দেওয়া সোকপিট তৈরির উদ্যোগ নেয় লেগো গ্রাম পঞ্চায়েত। এই প্রকল্পে এক একটি সোকপিটের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২৫ হাজার টাকা। নির্দিষ্ট টিউবওয়েলের পাশে একটি জায়গায় ৫ ফুটের গর্ত করে তার চারিদিকে ১০ ইঞ্চির গাঁথনি করে উপরটা পাকা ঢালাই করার কথা।
৮ টি সোকপিটের বরাত পান ঠিকাদার
এই কাজের জন্যই গত সেপ্টেম্বরে কিছু ঠিকাদার যোগাযোগ করে লেগো গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে। এরপর এই গোটা প্রোজেক্টের মধ্যে ৮ টি সোকপিট করার বরাত পান নারায়ণ চক্রবর্তী নামের এক স্থানীয় ঠিকাদার। যার মধ্যে ছিল কোতুলপুরের সাগরমেজে গ্রামের আইসিডিএস এর টিউবওয়েল সংলগ্ন সোকপিটটি।
রডের বদলে বাঁশের বাতা দিয়েই চলছে ঢালাই
সোকপিট তৈরি হয়ে গেলে তা রড ও সিমেন্ট দিয়ে পাকা ঢালাই করে ঢাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। এইদিন ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেলে গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন, রডের জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের বাতা। তার উপরেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঢালাইয়ের কাজও। ঠিকাদারের কাজকর্ম দেখে ক্ষুব্ধ জনতা পৌঁছায় গ্রাম পঞ্চায়েতে।
কাটমানি নিয়ে সরব বিরোধীরা
বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছায় লেগো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অবিলম্বে কাজ বন্ধ করে বাঁশের ঢালাই ভেঙে ফেলা হয়। সেই সাথে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানানো হয় বিডিও অফিসেও। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, এই ঘৃণ্যতম কাজের জন্য ঐ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন তারা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আইসিডিএস কেন্দ্রে ছোট শিশুরা খেলা করে। এইভাবে কাজ হলে যে কোনোদিন বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। সেই সাথে কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও।