বাংলা হান্ট ডেস্ক : টানা ১৭ দিন সূর্যের আলো দেখেননি কোচবিহারের (Coochbehar) মানিক তালুকদার (Manik Talukdar)। উত্তরকাশী টানেলে (Uttarkashi Tunnel) আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে তিনিও একজন। আর এবার রাজ্যে পা রেখেই কর্মসংস্থানের (Employment) সুর চড়ালেন তিনি। শুক্রবার বিমান বন্দরে পা রেখেই মানিকবাবু জানালেন, রাজ্যে কাজের বড়োই অভাব। সবার আগে দিদি বঙ্গবাসীর জন্য কাজের ব্যবস্থা করুন।
শুক্রবার বাড়ি ফেরেন মানিক তালুকদার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টানা ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর গত মঙ্গলবার তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সেখান থেকে ৪১ জন শ্রমিককেই নিয়ে যাওয়া হয় ঋষিকেশ এইমস হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার ডিসচার্জ করা হয় মানিক তালুকদারকে। এরপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুক্রবার।
দিদিকে বলব একটা কাজ দিন
এইদিন বিমানবন্দরে নামা মাত্রই সাংবাদিকদের দল ছেঁকে ধরে মানিক তালুকদারককে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘ওখানে কত কোম্পানি, কত কাজ। এখানে কোনও কাজই নেই। আমি ওখানে ৩৪ হাজার টাকা বেতন পাই। এখানে কেউ দেবে? ছেলে বিএ পাশ করে বসে আছে। সরকারি, বেসরকারি কোনও চাকরিই নেই। কাজ না করলে সংসার চালাব কী করে? দিদিকে বলব একটা কাজ দিন। বাইরে যেতে চাই না।’
একই কথা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া হুগলির পাখিরা পরিবারেরও
মানিক তালুকদারের এই মন্তব্যের সময় তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন, কোচবিহার জেলার তৃণমূলের অন্যতম নেতা পার্থপ্রতীম রায়। যদিও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেছেন বলে শোনা যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে এই একই সুর শোনা গিয়েছিল সুড়ঙ্গে আটকে পড়া হুগলির পাখিরা পরিবারের মুখেও। এবার সেই একই সুরে গাইলেন কোচবিহারের মানিক তালুকদারও।
কাজ নেই বঙ্গে
তারপর থেকেই রাজ্যের কর্মসংস্থানের নগ্নচিত্র সকলের সামনে চলে এসেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আম জনতার দাবি, দেশের অন্যান্য রাজ্য উন্নতির বিজয়পতাকা হাসিল করলেও বাংলা যেন দিনদিন পিছিয়েই পড়ছে। ছোট বড়, সব কাজের জন্যেই বাঙালিকে পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিনরাজ্যে। এতদিন মানুষ চুপ করে থাকলেও এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলছে সাধারণ মানুষ। এবং বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামি দিনে এক চরম সংকটের মুখে পড়তে চলেছে বাংলার যুবসমাজ।