বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West Bengal) বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই অভিযোগ আজকের নয়। এই এক ইস্যুতে গত অক্টোবর মাসে শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীতে। বাংলার বকেয়া টাকা আদায় করতে অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসে তৃণমূল। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। এদিকে মঙ্গলবার লোকসভায় ফের রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে সরব হন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়।
তার অভিযোগ, আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার করার পরও কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ওদিকে সুদীপের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির পাল্টা অভিযোগ, সেদিন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও তার ঘরে আসেননি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই নিয়ে সাধ্বীর সঙ্গে একপ্রস্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব।
পরে বেলা বারোটায় অধিবেশন শুরু হলে সুদীপের বেঞ্চে তার পাশে গিয়ে বসে পড়েন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ (Union Minister Giriraj Singh)। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়ে তাদের মধ্যে। পরে লোকসভার বাইরে এই নিয়ে মুখ খোলেন সুদীপ। তার দাবি, ‘‘বাংলার বকেয়া অর্থের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজের সঙ্গে তার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। উনি বলেছেন, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) বলুন, প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করতে। তবেই এই বকেয়া জট খুলবে।’’
আরও পড়ুন: ‘ওর মা…’, মমতার ভাইপোর বিয়েতে কেন ফিরহাদ বরকর্তা? এবার নিজেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
গিরিরাজের এভাবে আলাদা করে সুদীপের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি নিজের কথায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ মঞ্জুর করার ক্ষমতা তার হাতে নেই! এ ইস্যুর জট কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপেই খুলবে।
আবার প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও গিরিরাজ তৃণমূলকে পরামর্শ দিয়েছেন তা কি ওপরমহলের বার্তা? নাকি তিনি নিজস্ব মতামত রেখেছেন শুধুমাত্র! তবে যেই কারণেই হোক না কেন, গিরিরাজের এই পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশনের সময়ে দিল্লি সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, একাধিক কর্মসূচীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার অধিকার রয়েছে তার। এবার সেই সাক্ষাতে এই প্রসঙ্গে কোনও কথা ওঠে কি না তা বোঝা যাবে সময় এলেই।