বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একবার নয়া নজির তৈরি করতে চলেছেন ভারতের (India) অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক (World’s Largest Green Energy Park) তৈরি হচ্ছে কচ্ছের রণে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং গৌতম আদানি। মূলত, আদানি গ্রুপের তরফে গুজরাটের ভুজ জেলার খাবড়ার কাছে এই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে “খাবড়া পুনর্নবীকরণ এনার্জি পার্ক”। পাশাপাশি, প্রকল্পটির বিষয়ে আদানি জানিয়েছেন যে, কচ্ছের রণে মোট ৭২৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যেটি মুন্দ্রা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত রয়েছে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তাতে দু’কোটিরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এতে পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হবে না।
সংবাদ সংস্থা এপির রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, এই গ্রিন এনার্জি পার্কের অবস্থান ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়। পাশাপাশি, সেখান থেকে নিকটবর্তী যে গ্রামে মানুষের বসবাস রয়েছে সেটির দূরত্ব হল ৭০ কিমি। এমনকি, এই এনার্জি পাক তৈরি হলে সেটি সিঙ্গাপুরের মতোই বড় হবে। ভারত সরকারের অনুমান অনুযায়ী, “খাবড়া পুনর্নবীকরণ এনার্জি পার্ক” প্রকল্পের জন্য কমপক্ষে ২.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। যেখানে কাজ করছেন প্রায় ৪,০০০ জন কর্মী এবং ৫০০ জন ইঞ্জিনিয়ার।
আরও পড়ুন: মিস করবেন না সুযোগ! সস্তায় সোনা বিক্রি করবে সরকার, তৈরি থাকুন এই তারিখের জন্য
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ এই প্রকল্পের একাধিক ছবি পোস্ট করেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। সেখানে তিনি বলেন “পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরির মাধ্যমে যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারায় গর্ববোধ করছি।” তবে, ওই এলাকায় এই প্রকল্পের কাজের বিষয়টি যে যথেষ্ট কঠিন সেই বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন আদানি গ্রিনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনীত জৈন।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! ৩৩৩ টাকার চেক নিলাম হল ৯০ লক্ষ টাকায়, কারণ জানলে উড়বে হুঁশ
রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন ওই এলাকায় জনবসতি নেই। পাশাপাশি হাওয়ার বেগও যথেষ্ট বেশি এবং বৃষ্টিও প্রচুর পরিমাণে হয়। এমনকি, এলাকাটি উচ্চ ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে এনার্জি পার্কের মূল ভিত্তি তৈরি করতেই সময় লেগে যায় প্রায় ৬ মাস। এদিকে, গত এপ্রিল থেকে মূল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, প্রকল্পটির জেরে পরিবেশের ওপর কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।