বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারিতে জিতেছিলেন মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু লটারিতে লক্ষীলাভ তার একেবারেই জীবনে সইল না। কথা হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বছর তিরিশের যুবক কৃষ্ণপদ দাসকে নিয়ে। লটারি কেটে প্রচুর টাকার মালিক হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে তার। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় রাজমিস্ত্রি কৃষ্ণপদ সম্প্রতি লটারিতে জিতেছিলেন ৪৫ হাজার টাকা। বানীপুর ইদনা নতুন কলোনি এলাকার এই বাসিন্দা প্রতিদিনের মত ঘটনার দিনেও কাজে বের হন। কৃষ্ণপদ কাজে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় খবর আসে, স্থানীয় পুকুরে ভাসছে তাঁর দেহ। এরপর প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনরা দেখেন জল থেকে তুলে তাঁকে পুকুর পাড়ে শুয়ে রাখা হয়েছে।
আরোও পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম, পাল্লা দিচ্ছে চিকেনও! দেখুন, কোথায় কত রেট
এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। যুবকের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল মিলছে না বলেই পরিবারের সদস্যদের মত। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লটারির টাকার জন্যই কি যুবককে খুন করা হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। বিস্ফোরক দাবি করেছেন মৃতের আত্মীয় স্বপন ঢালি।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কৃষ্ণপদ আমার আত্মীয়। আমার ধারণা তাঁকে খুন করা হয়েছে। সকাল বেলার কাজে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে শ্মশানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে সম্ভবত মদ্যপান করছিল। কারণ মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার মনে হয় ওঁকে মেরে টাকা নিয়ে দেহ জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে বলে মনে হয়। আমরা দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করছি।’