চারবার সাংসদ, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দু’বার বিধায়ক! প্রথম আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী পেল ছত্তিসগড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) নাম নিয়ে জল্পনা শেষ হয়েছে। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচনের জন্য রবিবার রায়পুরের বিজেপি অফিসে ৫৪ জন নবনির্বাচিত বিধায়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম অনুমোদন করা হয়। বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর তার ভক্তরা উৎসবে মেতেছেন। ঢোলের তালে নাচতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। বিজেপি কর্মীরা বাদ্যযন্ত্রের সাথে পটকা ফাটিয়ে উদযাপন করেছে। সাই’ই হবেন ছত্তিশগড়ের প্রথম আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীকে রাজ্যের প্রথম আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী বলা হয়, তবে তার সাথে সম্পর্কিত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ড. রমন সিংও বিধায়ক দলের বৈঠকে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এক নম্বরে ছিলেন রমন সিং। বিধানসভা দলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে রমন সিং বলেছিলেন যে, তিনি ছত্তিশগড়ের ডেপুটি সিএমও হবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পাশাপাশি ডেপুটি সিএমও ঘোষণা করা হবে। দলের সঙ্গে যুক্ত নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিষ্ণু দেও সাইয়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। একই সঙ্গে তাঁকে সমর্থন করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি অরুণ সাও ও প্রবীণ নেতা ব্রিজমোহন আগরওয়াল। এটিও বলা হচ্ছে যে বিধায়ক দলের বৈঠক চলাকালীন রমন সিং একটি ফোন পেয়েছিলেন এবং তিনি বাইরে গিয়ে কথা বলেছিলেন। এই ফোন দিল্লি থেকে এসেছে বলে জল্পনা রয়েছে।

বিষ্ণু দেও সাই আদিবাসী সমাজের একজন বড় নেতা।

বিষ্ণু দেও সাইকে আদিবাসী সমাজের একজন বড় নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাই চারবার সাংসদ, দু’বার বিধায়ক, দুইবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। এর পাশাপাশি সংগঠনে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। তিনি ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কুনকুড়ি আসনে জয়ী হযন। রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েও তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু

১৯৮৯ সালে তিনি তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তিনি ছিলেন গ্রামের পঞ্চ। সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং তাকে তপকারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এমএলএ টিকিট দেয়, যেখানে তিনি জয়ী হন। এর পর তিনি পরপর তিনবার রায়গড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদও নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা তিনবার এমপি ছিলেন। বিষ্ণুদেও সাইকে আদিবাসী সমাজের বড় মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ad

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর