বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিষেক মামলায় তোলপাড় আদালত। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Justice Amrita Sinha) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংস্থার সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির হিসেব (Property Details) আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই মতো জমাও পড়ে নথি। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট নিয়ে ইডিকে (Enforcement Directorates) কে তুলোধোনা বিচারপতির। নাম না করে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, তার আয়ের উৎস কী?
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের। এদিন আদালতে ইডি জানিয়েছে, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও ৫,৫০০ পাতার নথি জমা দিয়েছেন। সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকশন ৫০ অনুযায়ী অভিষেক পত্নী রুজিরার বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি।
ইডির আইনজীবী আদালতে জানায়, ‘‘যা নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ এরপরই বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এই নথি আসত না। এটা ঠিক তো?’’
ইডির আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘জমা পড়া ওই ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন যা হয়েছে তাতে করে আপনারা কি খুঁজে দেখেছেন এর আয়ের উৎস কী? আয়ের উৎস কী? ’’ জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, প্রচুর নথি জমা পড়েছে। আমি বিস্তারিত বলছি না। কিন্তু অনেক নথি বলছে টাকা এসেছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় খেল দেখাবে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা নামবে ১০ ডিগ্রিতে: আবহাওয়ার খবর
বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি আপনারা খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস কী? সেই ক্ষমতা আইন আপনাদের দিয়েছে। বলা ভাল, এটাই আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’ আইনজীবী বলেন, আয়ের উৎস নিয়ে তারা অপরাধ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন। ইডিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনাদের তদন্তে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’’
এরপরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘অভিষেকের বেশির ভাগ সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর থেকে বৃদ্ধি হয়েছে। আবার এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে।” বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “দুটোর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখেছেন?’’ ইডি আদালতে রিপোর্ট দিয়ে সব জানানোর কথা বললে বিচারপতি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশটি আদালতে জমা দিন। পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা নিয়ে আসবেন না।’’ এই নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর ইডিকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিতে হবে। সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।