বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া টাকা ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আজকের নয়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই অভিযোগ বহুদিনের। এই এক ইস্যুতে গত অক্টোবর মাসে শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীতে। বাংলার বকেয়া টাকা আদায় করতে অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসে তৃণমূল। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। রাজ্যের তরফে বারবার আবেদন করা হলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম পদক্ষেপ করছে না। কিছুতেই জট না খোলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে এই ইস্যুতে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সুত্রের খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আর্জিতে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে থাকবেন। ওদিকে এই সময়ের মধ্যেই ১৯ ডিসেম্বর রয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। সেই বৈঠকেও যোগ দেবেন মমতা। তারপর আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ওই দিনটি সাক্ষাতের জন্য রাখা হয়েছে।
তবে সেই সাক্ষাৎ কোথায় হবে, কখন হবে সেই নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, পূর্বে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বৈঠকও হয়েছিল দুজনার। যদিও সেই সময় আর আজকের সময়ের মধ্যে বিস্তর তফাৎ। দিন দিন বেড়েই চলেছে কেন্দ্রের বঞ্চনা। এমনই অভিযোগ নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেনা বাংলা। বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা। রাজ্যের সব জিএসটির টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। কোনও টাকা আর ফেরত দেওয়া হয় না। স্বাস্থ্য খাতেও টাকা দিচ্ছেনা কেন্দ্র। এইরকম আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। দিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘২০১৪ সালের পর থেকে…’, অভিষেক মামলায় বিরাট পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার, জোর প্রশ্নের মুখে ED
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার লোকসভায় ফের রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে সরব হন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। পরে বেলা বারোটায় অধিবেশন শুরু হলে সুদীপের বেঞ্চে তার পাশে গিয়ে বসে পড়েন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ (Union Minister Giriraj Singh)। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়ে তাদের মধ্যে। পরে লোকসভার বাইরে এই নিয়ে মুখ খোলেন সুদীপ। তার দাবি, ‘‘বাংলার বকেয়া অর্থের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজের সঙ্গে তার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। উনি বলেছেন, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। তবেই এই বকেয়া জট খুলবে।’’ তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও মমতার মধ্যে বৈঠকের জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়।