বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। বিশেষ করে পর্যটকদের (Tourist) জন্য রয়েছে দুর্দান্ত সুখবর। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের তরফে উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক (USBRL) বরাবর জম্মু ও শ্রীনগরের মধ্যে চলাচলের জন্য একটি ৮ কোচের বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) এক্সপ্রেস বরাদ্দ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, রেলের এই পদক্ষেপটি নির্দেশ করে যে, কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ওই বন্দে ভারতের ঘোষণা করতে পারে যেটি কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই এই সমগ্র লাইনটির বৈদ্যুতিকরণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, যে টানেলগুলির কাজ অবশিষ্ট ছিল সেগুলিও প্রায় শেষের পথে। রিপোর্টে একজন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এই বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। এদিকে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পূর্বেই জানিয়েছিলেন যে, উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্কটি ২০২৪ সালের প্রথম দিকে চালু হবে। ইতিমধ্যেই উত্তর রেলের তরফে রামবান জেলার বানিহাল রেল স্টেশন থেকে খারি রেল স্টেশন পর্যন্ত একটি বৈদ্যুতিক ট্রেনের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জম্মু-শ্রীনগর বন্দে ভারত ওই দুই শহরের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে ৩.৫ ঘণ্টা করবে। বর্তমানে, জম্মু থেকে শ্রীনগর সফর করতে জাতীয় সড়কে অর্থাৎ সড়কপথে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় ভারতেই সবথেকে সস্তায় মেলে LPG সিলিন্ডার, সামনে এল বড় তথ্য
জম্মু-শ্রীনগর বন্দে ভারত ট্রেনের বিশেষ ফিচার্স: ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং ভূপ্রকৃতি বিবেচনা করে সেখানে চলা বন্দে ভারতের বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকবে। ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF)-র একজন শীর্ষ আধিকারিক TOI-কে জানিয়েছেন যে, ওই বিশেষ বন্দে ভারত কোচগুলিতে বগিগুলির ভেতরে এবং জলের লাইনগুলির জন্য হিটিংয়ের সুবিধা থাকবে। এই ট্রেনগুলিতে ঠান্ডা প্রতিরোধী এবং ব্রেক করার জন্য বিশেষ পাইপও থাকবে। এই ডেভেলপমেন্ট বন্দে ভারত ট্রেনের বিভিন্ন ভার্সান ডিজাইন এবং তৈরি করার বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ।
উধমপুর-শ্রীনগর-বরামুলা রেল সংযোগ প্রকল্প (USBRL): জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পটি ২৭২ কিমিরও বেশি বিস্তৃত। যেটি ৩৭,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহণ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্য স্থির করেছে। শুধু তাই নয়, এটিকে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রেলের দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই প্রকল্পটিতে মোট ১১৯ কিলোমিটারের ৩৮ টি টানেল রয়েছে। এর পাশাপাশি মোট ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৯২৭ টি ব্রিজও রয়েছে। ওই ব্রিজগুলির মধ্যে, মনোমুগ্ধকর চেনাব সেতুটিও রয়েছে। যেটি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল ব্রিজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।