বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশে উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই, এরইমধ্যে একটি বড় সমস্যা এসে পড়েছে তা হলো বেকারত্ব (unemployment)। বেকারত্বের যে কি যন্ত্রণা তা একমাত্র একজন বেকারই সবথেকে ভালো বুঝতে পারবে। দেশের বহু ছেলে-মেয়েরা উচশিক্ষা লাভ করার পরেও বেকারত্বের জীবন কাটাচ্ছে, যা সবথেকে যন্ত্রণাদায়ক। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে এই জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে হার মেনে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। দেশের জন্য এইরকম ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। দেশের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলিতভাবে একটি প্রচেষ্টা করেছে, যা এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে জানানো হল।
আপনিও কি বেকার? ভালো চাকরিরর (Job) জন্য এখনও কী সন্ধান করে চলেছেন? আপনাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে একটি সুখবর। কারণ কেন্দ্র সরকার এমন একটি প্রকল্প এনেছেন যা থেকে আপনি পেয়ে যাবেন মাসে ২৫০০ টাকা। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বেকার যুবক-যুবতীদের মাসে ২৫০০ টাকা করে দেবে এমনটাই সূত্রের খবর পাওয়া গেছে।
এখানে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের ভালোভাবে জানা দরকার, কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু আপনাদের পুরো টাকাটা দেবেনা, দেবে মাত্র ৬০%। বাকি ৪০% সরকারকে দেবে রাজ্যের ক্ষমতাশীল দল। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, স্ব কর্মসংস্থান নির্দেশিকা এটির দ্বারা কেন্দ্রে বেকারদের নাম নথিভুক্ত থাকবে এবং পাশাপাশি যারা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর কর্মসংস্থানমুখী ট্রেনিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকবেন শুধুমাত্র তারাই কিন্তু এই টাকাটি (Government Stipend) পাবেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রশিক্ষণ চলাকালীন এবং প্রশিক্ষণের পর যতদিন না তারা চাকরি পাচ্ছেন ততদিন বেকার রা ২৫০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন ঝাড়খন্ড, উত্তরাখণ্ড, আসাম, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের বেকাররা।
আপনি যদি এই সুযোগ হাত ছাড়া না করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়ে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে। যেমন আপনাকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে, সরকারি স্ব-কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে বেকারের নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। তাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। এর সাথে দু’বছরের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। আপনার বয়স অবশ্যই হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।