বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। তবে সেখানে তার ওপর রাখা হচ্ছে কড়া নজরদারি। নিজের পরিবারের সাথেও নাকি দেখা করতে পারছেন না মন্ত্রী। এই ইস্যুতেই করে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মন্ত্রীমশাই।
সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্ৰিয়র অভিযোগ, নিজের পরিবারের সদস্য কিংবা আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করতে পারছেন না তিনি। এই নিয়েই তার উপর নজরদারি শিথিল করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল।
গতকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। জ্যোতিপ্রিয়র মামলার পরিপ্রেক্ষিতে CISF মোতায়েন করে নজরদারি নিয়ন্ত্রণ চাইল কলকাতা ইকোর্ট। শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ বলেন, “ED প্রয়োজনীয় CISF জওয়ান সংখ্যা জানাক, আদালত এসএসকেএমে তাই মোতায়েন করতে চায় জ্যোতিপ্রিয়র নজরদারিতে।”
আরও পড়ুন: বছর শেষে চমকে দিল সরকার! ৪% DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, জারি বিজ্ঞপ্তি
প্রসঙ্গত, ইডির (Enforcement Directorates) আর্জিতে সায় দিয়ে হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা জ্যোতিপ্ৰিয়কে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতার বিচার ভবন। আদালতের নির্দেশ মত জ্যোতিপ্ৰিয়র সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে হাজির হয় দুই অতিথি। বনমন্ত্রীর রুমের ভেতর লাগানো হয়ে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন দু দুটি ‘সেন্সর’ সিসি ক্যামেরা। যার দ্বারা এতদিন অডিও, ভিডিও দুই দিয়েই চলছিল নজরদারি।
নিম্ম আদালতের এই নির্দেশ বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। গতকাল এই মামলার শুনানিতে আদালতে ইডি বলে, “জ্যোতিপ্রিয় তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সিসিটিভি নজরদারি সরানোর তীব্র বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী।”
বিচারপতির নির্দেশ, ইডিকে নিজের অবস্থান জানাতে হবে। ইডিকে CCTV এর পরিবর্তে CISFমোতায়েন করে নজরদারির পরামর্শও দেন বিচারপতি ঘোষ। শুক্রবার দুপুর দুটোয় ফের এই আবেদন মামলার শুনানি রয়েছে।