বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেঞ্চুরি! চলতি শীতকালীন অধিবেশন শেষ হতে এখনও তিন দিন বাকি। তার আগেই লোকসভা (Loksabha) এবং রাজ্যসভা (Rajya Sabha) মিলিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী শিবিরের ১৪১ জন সাংসদ (Opposition MP’s)। তিনদিনেই সংসদ থেকে সাসপেন্ড ১৪১। লোকসভা ও রাজ্যসভায় দফায় দফায় সাসপেন্ড বিরোধী শিবিরের সাংসদদেরা। আর এর জেরে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশের সংসদ কার্যতই বিরোধীশূন্য। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বুধবার সংসদে হামলার ঘটনা, আর সেই ইস্যুতেই ক্রমশ্য উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সোমবার একদিনে সাসপেন্ড হন ৭৮ জন বিরোধী সাংসদ। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দলের মোট ৩৩ জন সাংসদ। ওদিকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলের ৪৫ জন সাংসদ। এই ঘটনা নিয়ে যখন ক্রমশ্য চড়ছে রাজনীতির পারদ সেই সময় মঙ্গলে ফের সংসদে সাসপেন্ড করা হল ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড়! এই প্রথম কোনও মন্ত্রীর দফতরে হানা দিল ED, বেরিয়ে আসল বড় নাম?
শীতকালীন অধিবেশন সংসদে জারি সাসপেনশন। বুধবার সংসদে হামলার ঘটনার পর থেকেই উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। লোকসভায় ঝাঁপ কাণ্ডে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করেছেন তারা। এরই মাঝে সংসদে অসংবিধানিক আচরণের অভিযোগে মঙ্গলবারও সাসপেন্ড করা হল বিরোধী সাংসদদের। এদিন শশী থারুর, সুপ্রিয়া সুলে, ডিম্পল যাদব, কার্তি চিদম্বরম সহ মোট ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই শেষ অধিবেশন। আর সেই অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে দলে দলে সাসপেনশন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। ঘটনার বিরোধীতা করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সংসদ চত্বরে গাঁধীমূর্তির সামনে প্রতিবাদ নেমেছে বিরোধীরা। আজ সংসদের সিঁড়িতে অবস্থানে বসে ইন্ডিয়া জোট।
সাসপেনশন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, ‘সেঞ্চুরিয়ান মোদী পার্লামেন্ট থেকে আগামী দিনে বিরোধী বলে কোন সাংসদ যারা বলার ইচ্ছা রাখে সেইরকম কোন সাংসদের অস্তিত্ব পার্লামেন্টের মধ্যে তিনি রাখবেন না।’