বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার চর্চায় রাজ্যের অন্যতম খ্যাতনামা হাসপাতাল SSKM। রাজ্যের এই সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের আশ্রয় দিচ্ছে এই হাসপাতাল। সম্প্রতি এই মর্মেই এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) । মামলার আরও সংযোজন ‘এই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।’
মামলাকারীর বক্তব্য, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার অপব্যবহার হচ্ছে। সেই সাথে প্রশ্ন উঠেছে, ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা ESI জোকাতে না হয়ে কেন SSKM হাসপাতালে হবে? এমনকি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ধৃত ব্যক্তিদের চিকিৎসা কেন্দ্রীয় হাসপাতালেই হওয়া উচিত বলেই দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নানা সময়ে নানা কারণে সংবাদ শিরোনামে থেকেছে SSKM হাসপাতাল। বিশেষ করে বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত থাকা ব্যক্তিত্বদের কারণে বারংবার কাঠগড়ায় উঠেছে এই হাসপাতাল। কিছুদিন আগেই রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপরেই শারিরীক অসুস্থতা দেখিয়ে তিনি ভর্তি করা হয়েছে SSKM হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : ভাঙনের মুখে ইন্ডিয়া জোট! ক্ষোভে ফেটে পড়ে বৈঠক ডাকলেন নীতিশ কুমার
এছাড়াও অসুস্থতার কারণে SSKM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শারিরীক ভাবে অসুস্থ,য়ে পড়েন তিনি। এমনকি তদন্ত স্বার্থে তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইলে তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাকে ED থেকে ESI জোকাতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তা সম্ভব নয়।
এই প্রসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি জানার জন্য SSKM হাসপাতালের সুপারকে তলব করেছিল ED। যদিও সুপার নিজে হাজিরা দেননি বলেই খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও SSKM-এই ভর্ত করা হয়েছিল। যে কারণে বিরোধী সহ গোটা রাজ্যের প্রশ্ন, কেন প্রতিবার অভিযুক্তদের SSKM-র পেছনে লুকিয়ে ফেলা হয়? আর এবার তা পৌঁছে গেল আদালতে। এখন কী রায় দেয় সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন : ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে দুঃসংবাদ! উদ্বোধনের জন্য আরও দিন গুনতে হবে শহরবাসীকে
উল্লেখ্য, এই মামলাটি করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। হলফনামায় তার দাবি, ‘চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ, ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড দখল করে রেখেছেন। সেখানে তাদের ভণ্ড চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরাও উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’ সেই সাথে নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’র মামলায় SSKM হাসপাতালের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ED।