বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝে পাঁচ বছর বাদ। ২০১৬ সাল থেকে প্রাথমিক টেট হচ্ছিল না। তারপর গত বছর থেকে ফের শুরু। ২০২২ এও নিয়ম মেনে প্রাথমিককের টেট নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)। সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের টেট (TET) পরীক্ষা। পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে প্ৰতি বছর টেট হবে। একবারও বাদ যাবে না। তবে টেট হোক বা না হোক এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
গত ২৪শে ডিসেম্বর আয়োজিত হয়েছিল চলতি বছরের প্রাথমিক টেট। তবে এবারেও পর্ষদের কড়া নিরাপত্তার থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামনে এসেছে। এই একটি ঘটনা ছাড়া অবশ্য এবছর মোটের ওপর ত্রুটিহীনভাবেই সম্পন্ন হয়েছে পরীক্ষা। যদিও এবার অনেক কম ছিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
গত বার ৬ লক্ষ ৯০ হাজার জন টেট পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ১০ হাজারে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক টেট ২০২৩ -এর ফলাফল প্রকাশের আশা করছেন পরীক্ষার্থীরা। এই নিয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব এবং রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বিবৃতি, “ প্রত্যেক বছরই নিয়ম করে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে টেটে পাশ করা মানেই চাকরি পাওয়া নয়। প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হল প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা মাত্র। ” তার কথায়, “টেটে উত্তীর্ণ হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেই সকল যোগ্য পরীক্ষার্থীদের একটি সার্টিফিকেট অর্থাৎ শংসাপত্র দেবে। তবে এর মানে এই না যে তাতে চাকরি হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন: বলাগড়ে ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ! তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, পরিস্থিতি সামলাতে আসরে বিধায়ক
“টেট পাশ সার্টিফিকেট পাওয়ার অর্থ সেই পরীক্ষার্থী রাজ্যের প্রাথমিক স্তরে স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের শূন্যপদের উপর ভিত্তি করে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের জন্য দরখাস্ত নেওয়া হবে। তাতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা ইন্টারভিউর জন্য আবেদন করতে পারবেন।” ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ওদিকে আগামী তিন মাসের মধ্যেই চলতি টেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার।