রঙ-বেরঙের পাখনা মেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইতিউতি, ময়ূরময় এই গ্রাম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আট থেকে আশি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আউশগ্রামের জঙ্গলমহল এলাকার গ্রাম হেদোগড়িয়া। এই গ্রামে এখন ময়ূরের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। ময়ূর নিয়ে গ্রামবাসীদের ধারাবাহিকভাবে সচেতন করে চলেছে বনদপ্তর। সেই সচেতনতার ফল এবার মিলল বলাই যায়। এখন ময়ূর-ময়ূরীর অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে হেদোগড়িয়া।

ময়ূর দেখতে এই গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্তের পর্যটকেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এখানে গড়ে তোলা হোক ইকো ট্যুরিজম। হেদোগড়িয়া সংলগ্ন যে জঙ্গল রয়েছে সেখানে দেখা মেলে ময়ূরের। আবার দল বেঁধে ময়ূর কখনো চলে আসে লোকালয়ে। এই ময়ূরদের দেখার জন্য পর্যটকেরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন।

আরোও পড়ুন : সাবধান! GPay, PhonePe ব্যবহারকারীদের জন্য এবার নয়া নিয়ম, না জানলেই বাড়বে বিপদ

বন বিভাগ সূত্রে খবর, পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি ময়ূর কিছু বছর আগে ছাড়া হয়েছিল আউসগ্রাম সংলগ্ন কাঁকসার দেউল অঞ্চলে। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় এলাকাকে ময়ূরদের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা হয়। তারপর ঘটতে শুরু করে ময়ূরের বংশবিস্তার। বনদপ্তরের একটি সুত্র মারফত জানা গেছে, দেউল ও আদুরিয়া জঙ্গল সংলগ্ন ৩০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে বর্তমানে ৫০০র কাছাকাছি ময়ূর রয়েছে।

আরোও পড়ুন: টেকপ্রেমীদের জন্য সুখবর! শীঘ্রই লঞ্চ হচ্ছে Poco-র দুর্ধর্ষ স্মার্টফোন, অবাক করবে ফিচার্স

স্থানীয় সূত্রে খবর, হেদোগড়িয়া ছাড়াও এখন ময়ূরের দলের দেখা পাওয়া যাচ্ছে প্রেমগঞ্জ, রাঙাখুলা, আদুরিয়া প্রভৃতি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। অনেকেই বলছেন বছর দুয়েক আগে মাঝেমধ্যে ময়ূর দেখা যেত এইসব জায়গায়। তবে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূরের দেখার মিলছে। এখানে ঘুরতে আসা এক পর্যটকের কথায়, এমনিতেই আকর্ষণের জায়গা আউসগ্রাম।

peacock 2

তার ওপর বাড়তি পাওনা এই ময়ূরের দল। খুব ভালো লাগছে এটা দেখে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বন জঙ্গলের মধ্যে আগে লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াত ময়ূর। তবে এখন তারা মানুষের সামনে চলে আসছে। আমরাও তাদের যত্ন নিচ্ছি। পর্যটকদের পরীক্ষা করে নিচ্ছি যে তারা চোরা শিকারি কিনা। বনদপ্তরের নজরদারি ও গ্রামবাসীদের সতর্কতায় এটা সম্ভব হয়েছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর