বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন যায়, মাস যায়, কেটে যায় কত সময়, অবশেষে ধরা গেল কাকুর কণ্ঠস্বর। বহু টানাপোড়েনের পর মুখ খুললেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। ধোপে টিকলো না কোনো কিছুই। বুধবারই রাত ১২.৫২ মিনিটে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ‘কাকু’ মুখ খোলেন বলে সূত্রের খবর।
বহু মাস ধরে সুজয়কৃষ্ণের ঠিকানা ছিল এসএসকেএম হাসপাতাল। গতকাল রাতে হঠাৎ অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসএসকেএমে পৌঁছে যায় ইডি (ED)। শোরগোল পড়ে যায়। আশঙ্কা মতই রাতে হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। জোর তৎপরতার সাথে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আর তারপরই ‘অসাধ্য-সাধন’।
তবে জোকাতে গিয়েও পরতে পরতে নাটক। সূত্রের খবর, প্রথম একঘণ্টা মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন কাকু। তবে কোনও চালই খাটল না। রাত ১২.৫২ মিনিটে চিকিত্সক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি হন কালীঘাটের কাকু।
জোকাতে পৌঁছে প্রথমে মেডিক্যাল টেস্ট হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। এরপরই শুরু হয় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল সমস্ত বিষয়টি সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য তৈরি ছিল।
আরও পড়ুন: শীতকে জোরসে ধাক্কা! এবার ছোবল বসাবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় তোলপাড়: আবহাওয়ার খবর
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। সাউন্ড-প্রুফ ও ইকো-প্রুফ ঘরে তিনটি বাক্য একাধিকবার বলতে বলা হয় তাকে। সেগুলি হল, ‘আপনার নাম কী?’, ‘আপনার স্ত্রীর নাম কী?’ এবং ‘আমার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না’। প্রথমে অসহযোগিতা করলেও পড়ে ভয়েস স্যাম্পল দেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্রের খবর এমনটাই।
সব কিছু শেষ হতে হতে অনেকটা রাত হয়ে যাওয়ায় রাত হয়ে যাওয়ায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আর এসএসকেএম হাসপাতালে ফেরানো হয়নি। রাতে জোকাতেই বিশ্রাম নেন তিনি। জানা যাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে ইডি। তারপরই দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে চার মাস পর বুধবার এসএসকেএম থেকে সুজয়কৃষ্ণকে বের করে ইডি। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে সোজা জোকা ইএসআই হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আগেই মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছ থেকে। কিন্তু সেখানে পাওয়া কল রেকর্ডিং এর এক প্রান্তের গলা যে ‘কাকু’র, তা প্রমাণ করতে চাই ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা। বিগত কয়েক মাস ধরে বহু চেষ্টার বিরাট সাফল্য পেল ইডি। হাতে এল ‘অমূল্য’ কণ্ঠস্বরের নমুনা।