বাংলাহান্ট ডেস্ক : হঠাৎ করেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভারতের কেন্দ্রশাসিত দ্বীপ অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপ অঞ্চলটি পর্যটকদের কাছে বরাবরই প্রিয়। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর ভারতের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ রেখেছেন অপূর্ব সুন্দর এই অঞ্চলটি একবার ঘুরে আসার। তারপর থেকেই ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ ও মালদ্বীপের মধ্যে। মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী কুমন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে। তারপরই সারা দেশ গর্জে উঠেছে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে।
আরোও পড়ুন : এটিই ভারতের বৃহত্তম সমুদ্র সেতু! ১৮ টাকায় পৌঁছে যাবেন ১ কিমি, জানেন কোথায় আছে?
৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। মাত্র ৩২.৬৯ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত ভারতের কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটি। আকারে ছোট হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অবস্থানগত দিক থেকে ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটি। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় স্বাধীনতার সময় লাক্ষাদ্বীপ চলে যাচ্ছিল পাকিস্তানের দখলে।
আরোও পড়ুন : এক দশক পর বড়সড় বদল! এবার নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস, ফেব্রুয়ারিতেই মডেল প্রশ্নপত্র
লাক্ষাদ্বীপ প্রায় পাকিস্তানের হাতে চলে যাচ্ছিল দেশ ভাগের সময়। তবে ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (Sardar Vallabhbhai Patel) লাক্ষাদ্বীপকে রক্ষা করেছিলেন। বলা ভালো সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্যই লাক্ষাদ্বীপ আজ ভারতের অন্তর্ভুক্ত। মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় প্রথম থেকেই পাকিস্তানের নজর ছিল লাক্ষাদ্বীপের উপর।
এই অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যার প্রভাব থাকায় পাকিস্তান প্রথম থেকেই পাখির চোখ করেছিল লাক্ষাদ্বীপকে। লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে আরব সাগরে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল পাকিস্তান। লাক্ষাদ্বীপ দখলের জন্য পাকিস্তানের তরফ থেকে পাঠানো হয় যুদ্ধজাহাজ।
এই খবর পাওয়ার পর বল্লভভাই প্যাটেল ভারতীয় নৌ সেনাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তারপর তৎপরতার সাথে ভারতীয় নৌসেনার লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে তিরঙ্গা পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। ভারতীয় সেনার তৎপরতা দেখে পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। তাই মাঝপথেই লাক্ষাদ্বীপ দখলের স্বপ্ন ভেঙে যায় পাকিস্তানের।