বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি (Enforcement Directorate) পেটানোর আজ পাঁচদিন। এখনও পর্যন্ত ধরা ছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। লুকআউট সার্কুলার জারি হলেও সন্দেশখালির এই দাপুটে নেতার টিকিও খুঁজে পায়নি রাজ্য পুলিশ। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্ম দক্ষতার উপর। পুলিশ কি আদৌ দোষীদের সাজা দিতে চাইছে? কী করছেন বাংলার ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, ‘আইন ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে কথা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ডিজিপির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ। যদিও আজ পাঁচ দিন পর ঘটনা যে তিমিরের সেই তিমিরেই। আর এবার জল্পনা উস্কে বড় মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এইদিন বাংলাহান্টের ক্যামেরায় জোর গলায় শুভেন্দু বলেন, ‘ডিজিপি নিজেই তো অপরাধী।’ এইদিন তাকে প্রশ্ন করা হয়, ঘটনার পাঁচ দিন হয়ে গেলেও অপরাধীদের কেউই এখনও ধরা কেন পড়লনা? তারই জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব কুমারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘বাঘের পিঠে চড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব সিপিএম এর গুণ্ডা। মমতা এনে এদেরকে আরও বাড়িয়েছে।’
যদিও রাজ্যের শাসকদলের দাবি, এইসব দুর্নীতি তদন্ত পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত। যেসব রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে বেছে বেছে সেইসব রাজ্যেই ইডি লেলিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। শাসকদলের এই অভিযোগকে সাফ খারিজ করে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ‘এইসব মিথ্যে কথা। যা হচ্ছে সবটাই কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্দেশখালি-বনগাঁর ঘটনায় মুখ খুলেছেন বহু মানুষ। বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, বিচারপতি সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেবের গলায় আবার অন্য সুর। বেশ হুমকির সুরেই তিনি বলেন, সন্দেশখালির মত জন বিষ্ফোরণ এবার গোটা বাংলায় হবে। অবশ্য ইডি ডিরেক্টর রাহুল নবীন আজ জানিয়েছেন, এবার থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি লাগু করা হবে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে আর কোনও ছাড় নেই।