বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Recruitment Case) আলিপুর সিজিএম কোর্টে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। এর আগে একটি চার্জশিট দিয়েছিল সংস্থা। শুক্রবার জমা পড়ল দ্বিতীয় চার্জশিট। আর তাতেই বিস্ফোরক সব তথ্য। সূত্রের খবর ২০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) প্রস্তুতকারক সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানির অংশীদার কৌশিক মাঝি, সেই সংস্থারই কর্মচারী পার্থ সেনের। আর এবার এস বসু রায় কোম্পানির সঙ্গে উঠে এল কুন্তল (Kuntal Ghosh) যোগ।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে। এরপর তাদের মারফত সফল প্রার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে পৌঁছে যেত। ওদিকে তৃণমূলের যুবনেতা ছিলেন কুন্তল ঘোষ। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এস বসু রায় সংস্থার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সিবিআই এর দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারি করতে কুন্তল ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলেন। আর সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই উত্তরপত্র প্রস্তুতকারক এস বসু রায় সংস্থার যোগসূত্র মিলেছে।
গত বছরই অক্টোবর মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয় ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থা এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির আধিকারিক পার্থ সেন। গ্রেফতার করা হয় কৌশিক মাঝিকেও। সূত্রের খবর, চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০১ নম্বর ধারায় (প্রমাণ লোপাট) অভিযোগ আনা হয়েছে। ওদিকে বহু আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ।
আরও পড়ুন: সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি বড় কাজ সেরে ফেলেছে ED, এবার ফাঁস হবে আসল কাণ্ড?
সিবিআই এর চার্জশিটে অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ রয়েছে পার্থ ও কৌশিকের। অভিযোগ, ৭০০ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা আদানপ্রদান হয় এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে। টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ওই তালিকায় থাকা ৩০০ জনের বেশি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
চার্জশিটে তদন্তকারীদের আরও দাবি, ২০১৭ সালের ১১ মে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা কৌশিক ও পার্থ মারফত ই-মেল করে পাঠানো হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। ওই তালিকার ২৫৬ জন অযোগ্য প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষিকের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের দাবি ইতিমধ্যেই ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।