হাইকোর্টে মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব! ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া অ্যাকশন বিচারপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। বর্তমানে ২০২৩, বছর পাল্টালেও লাগাম পড়েনি অভিযোগে। দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে চলছে একের পর এক মামলা। ওদিকে যোগ্য চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি না দেওয়ার আরেক ফন্দি। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল আদালতে।

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) সুপারিশপত্র জারি হওয়া সত্বেও এক চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Secondary Education) বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আদালতে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ার মত অভিযোগ উঠেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। ঘটনা সামনে আসতেই তড়িঘড়ি পর্ষদ সচিবকে তলব করেছে আদালত।

ঠিক কি ঘটেছিল? স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপারিশপত্র দেওয়ার পরও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ দেয়নি, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উমা প্রামাণিক নামের এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতে তিনি জানান, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়ার শালতোড়া গার্লস স্কুলে যোগদানের জন্য সুপারিশপত্র দেয় SSC। তবে তারপর বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ পাননি তিনি।

এর পর আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব হলফনামা দিয়ে জানান, ওই প্রার্থীর তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন দিচ্ছে না বলেই নিয়োগ করা যায়নি। পাশাপাশি SSC যে সুপারিশপত্র দিয়েছে তাও পদ্ধতি মেনে হয়নি বলে আদালতে জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওদিকে পাল্টা কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানান, তাদের দিক থেকে যা যা করণীয় ছিল সেসব আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তাও কেন ওই প্রার্থী নিয়োগ পাননি সেই বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। সেসিব মধ্যশিক্ষা পর্ষদই জানে বলে আদালতে প্রমাণ সহ সমস্ত কিছু জানায় SSC-র আইনজীবী।

high court

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট! বিপাকে ১১ হাজার

সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখার পর পর্ষদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। ঠিক কি কারণে আদালতে মিথ্যা হলফনামা পেশ করা হয়েছে তা জানতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতে নিজের হলফনামার স্বপক্ষে প্রমাণ বা সঠিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর