বাংলা হান্ট ডেস্ক : আপনারা নিশ্চয়ই সকলেই জানেন সিন্ধু সভ্যতার (Indus Civilization) কথা। সেই সভ্যতা ধ্বংসের পর কতইনা রাজ্যের উত্থান পতন ঘটেছে। কিন্তু এবার ডিরেক্টরেট অফ অর্কিওলজি অ্যান্ড মিউজিয়ামের (Directorate of archeology and Museum) আর্থিক সহয়তা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা একটি জনপদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানেন কী সেই জায়গাটির নাম? আর তার সঙ্গে কী বা সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)? চলুন দেখে নিই।
অবশেষে সেই জায়গার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। জায়গাটির নাম ভডনগর। গুজরাটের (Gujrat) ভডনগর (Vadnagar) হল প্রধানমন্ত্রীর (prime minister) নরেন্দ্র মোদির (narendra Modi) জন্মস্থান। গুজরাটের সেই গ্রামটিতে ২,৮০০ বছরেরও বেশি পুরনো এক সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনই কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জিওলজি (Geology) এবং জিও-ফিজিক্সের (Geophysics) অধ্যাপক অনিন্দ্য সরকার (Anindya Sarkar) জানিয়েছেন, সেখানে এক বেশ পুরনো একটি বুদ্ধ মঠেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
এই খনন কাজ জোরকদমে চালাচ্ছে অর্কিওলিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা (Archaeological Survey of India) এবং খড়গপুর আইআইটি (Kharagpur IIT), দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকেরা (Delhi Jawahaelal Nehru University)। সেখানে শুধু বুদ্ধ মঠই না সেখানেকার জনবসতির বহু সাংস্কৃতিক এবং বহু ধর্মীয় মানুষের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ বৌদ্ধ, হিন্দু, জৈন এবং ইসলামের ধর্মাবলম্বীদের বস্তির প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
গবেষকেরা এ বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন, এই ভডনগরে একের পর এক সভ্যতার মানুষ এখানে বসতি স্থাপন করেছে। অন্ততপক্ষে এখানে সাতটি সাংস্কৃতিক পর্যায়ের উপস্থিতির প্রমাণও মিলেছে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত শহরটি কিন্তু টিকে আছে। এএসআই এর প্রত্নতাত্ত্বিক ডঃ অভিজিৎ আম্বেদকর এই বিষয়ে বলেছেন, ‘খননের সময় একটি বৌদ্ধ বিহারও আবিষ্কার হয়েছে। যা প্রাচীনতম বিহারগুলির মধ্যে অন্যতম। আমরা সেখান থেকে মৃৎপাত্র (Pottery), সোনা (Gold) এবং লোহার (Iron) জিনিস পেয়েছি। এছাড়া নকশা করা চুরির মত বিভিন্ন ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও পেয়েছি। তাছাড়া এখানে গ্রিক রাজা অ্যাপোলোডাটাসের মুদ্রার (Coins) ছাঁচও পাওয়া গিয়েছে।
তিনি এ কথাও জানিয়েছেন, এই ভডনগর এমন একটি শহর যা দীর্ঘকাল ধরে টিকে রয়েছে। এখানে প্রায় ৫,৫০০ বছর পুরনো সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এতদিন ধরে যে অনেক গবেষকেরা বলেছিলেন, অন্ধকার যুগের কথা। সেটি ভুল প্রমাণ হতে পারে, বলে দাবি করেছেন আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক তথা অনিন্দ্য সরকার।