বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শঙ্কর আঢ্যর (Shankar Adhya) যখের ধনের হদিস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorates) সূত্রে দাবি, দুবাইয়ে শঙ্কর আঢ্যর নামে সংস্থার হদিস মিলেছে। যেই সংস্থা রয়েছে শঙ্করের ছেলে শুভর নামে। ইডির দাবি, ওই সংস্থায় লগ্নি করার নামেই রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) কোটি কোটি টাকা বাইরের দেশে পাচার করা হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে বালু আর তারপর তার সূত্র ধরে সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্ৰিয় (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ওরফে ‘ডাকু’। তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য ইডির হাতে।
ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে জেলবন্দি শঙ্করের মাত্র একটি সংস্থারই দশ বছরের ‘টার্নওভার’ এক হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হয়েছে। এছাড়া শঙ্কর ও তার পরিবারের থাকা থাকা ১১টি ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হয়েছে বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে কিছুদিন আগেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভে শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এর অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। আদালতে ইডি জানিয়েছে শঙ্করের CA-র চারটি ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। একাধিক সংস্থা মিলিয়ে গত ১০ বছরে শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার টার্নওভার হাজার কোটি টাকা।
ইডির অনুমান, হাজার হাজার কোটি কালো টাকা ‘সাদা’ করার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের সংস্থার মাধ্যমে। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত শঙ্কর আঢ্যর নামে ৯০টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার সন্ধান মিলেছে। এই সংস্থা গুলির মাধ্যমে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা ইডির।
আরও পড়ুন: ‘কবে জাগবেন? বাংলার ৯ হাজার গ্রাম হিন্দুশূন্য হয়েছে মমতার আমলে’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
তদন্তে নেমে শঙ্কর আঢ্য, তার স্ত্রী, মা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, শ্যালকের নামে মোট ১১টি ফোরেক্স সংস্থার হদিস মিলেছে। ইডির দাবি, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সেই সংস্থার মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার মুদ্রা বিনিময় হয়েছে।
ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচারে সক্রিয় ভূমিকা ছিল শঙ্করের। ৯৯ শতাংশ টাকার ‘টার্নওভার’ নগদেই হয় বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডির অভিযোগ, শঙ্করের কর্মীরা বিভিন্ন ব্যক্তির নামের নথির আইডি তৈরি করে তার মাধ্যমেই টাকার বিনিময় হত। ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশো নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।