বাংলাহান্ট ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ayodhya Ram Mandir Inauguration) দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বাংলায় তৃণমূলের সংহতি মিছিল (TMC Sanhati Michil)। বাংলায় সর্বধর্ম সমন্বয়ে ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর মিছিল শেষের সভা থেকে বাংলাকে ফের জেগে ওঠার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার বেলা ৩টের সময় কালীঘাটে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘সংহতি মিছিল’-শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গুরুদ্বার, মসজিদ, গির্জা ছুঁয়ে সভা করেন। সেখানেই বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানান মমতা। বলেন, “আপনারা সংস্কৃতিবান মানুষ, সভ্যতার পাদপ্রদীপ। আপনাদের ঘরেই আলোকিত হয়েছিল সভ্যতার আলো। আপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই। আজ বাংলার মানুষকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
এদিন বিজেপিকে জোর আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘ভোট কাছে এলে একটা দল দেশকে বিক্রি করে দিয়ে চলে যায়। আমার লজ্জা লাগে।” কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘সকাল থেকে যা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রাম হচ্ছে এমন প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এর পরের দিন থেকে কী হবে? ’’
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রামের বিরুদ্ধ নই। রাম-সীতাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তোমরা তো কই সীতার কথা বল না! তোমরা কি নারীবিরোধী? সীতা না থাকলে রাম হয় না। কৌশল্যা দেবী না থাকলে, মা না থাকলে রামের জন্ম হয় না। মায়েরাই জন্ম দেয়।’
আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিরাট মোড়! এবার ডেডলাইন বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, আদালতে সব ‘ফাঁস’ করল ED
মমতা বলেন, ‘ সীতাই ১৪ বছর বনবাসে ছিলেন রামের সঙ্গে। আবার তাঁকেই নিজেকে প্রমাণ করতে অগ্নিপরীক্ষাও দিতে হয়েছিল। আমরা জানি। আমরা তাই নারীশক্তি দুর্গার পুজো করি। রামই সেই দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে।’’
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট