বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত (India) মালদ্বীপ (Maldives) দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত চিন (China)। যে কারণে ভারতও এখন আর চিনপন্থী মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকারের কথাতেও বিশেষ ভরসা করতে পারছেনা। যে কারণে মালদ্বীপগামী চিনা জাহাজ শিয়াং হং ৩-র গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে নয়া দিল্লি। ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, চিনা বাহিনী যাতে মালদ্বীপ ইকোনমিক জোনে হস্তক্ষেপ না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত সরকার।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই মালদ্বীপগামী জাহাজ আদতে চিনা গুপ্তচরদের। এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগর এলাকায় রয়েছে এই জাহাজ। জাহাজটি মালে পৌঁছাবে আগামি ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাতেও ‘গুপ্তচর’ জাহাজ পাঠানোর চেষ্টা করেছিল চিন। তবে গত বছর ২২ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কা সরকার জানায়, ২০২৪ সালে নিজেদের অর্থনৈতিক জোনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবেনা।
যদিও চিনপন্থী মুইজ্জু সরকার কিন্তু এমনটা করবেনা বলেই ধারণা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চিনের এই ‘গুপ্তচর’ জাহাজকে মালে নোঙর ফেলার অনুমতি দেবে। গত মঙ্গলবার, মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যে কোনও বন্ধুরাষ্ট্রের জাহাজই মালে আসতে পারে।
সেই সাথে এও জানানো হয়েছে, চিনা জাহাজ মালদ্বীপের অর্থনৈতিক জোনে কোনও গবেষণা চালাবে না। যদিও মুইজ্জুর এই মন্তব্যের উপর ভরসা করতে রাজি নয় ভারত সরকার। একই সাথে বিরোধীতা শুরু করেছে মালদ্বীপের বিরোধী সরকারও। এইদিন বিরোধী দলের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মালদ্বীপ সরকারের এই ভারত বিরোধী নীতি আসলে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষতিই করবে।
আরও পড়ুন : ঠিকানা বদলে গেল পার্থ বান্ধবীর! আলিপুর থেকে এবার কোন জেল? জল্পনা তুঙ্গে
যে দুটি বিরোধী দল মুইজ্জু সরকারের বিরোধীতা করেছে তাদের হাতে রয়েছে মোট ৫৫টি আসন। যেখানে মালের মোট আসন সংখ্যা হল ৮৭। এমন অবস্থায় মুইজ্জুর ভারত বিরোধী নীতি যে কোনও সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। এককথায়, মুইজ্জুর ইন্ডিয়া আউট নীতির কারণে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই বেশ সমস্যায় পড়েছে মালদ্বীপ সরকার।