বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। আর তার আগেই বিরোধী মহা জোট ইন্ডিয়ায় ভাঙ্গন! একে একে জাতীয় দল কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরাচ্ছে জোটের অপেক্ষাকৃত ছোট দল গুলি। বুধবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দেন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে নয়, একাই সমস্ত আসনে লড়বে তৃণমূল (Trinamool)। তবে কেবল মমতাই নয়, ইতিমধ্যেই ঘাসফুলের সুরে সুর মিলিয়েছে পঞ্জাব। এই আবহে এবার নয় তথ্য সামনে নিয়ে এলেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত।
প্রসঙ্গত, গতকাল সংবাদমাধ্যমের সামনে বেশ ঘটা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। মমতা বলেন,’আগেই একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “জোট কারও একার নয়। আঞ্চলিক দলগুলো সব একসঙ্গে থাকব। আমরা আঞ্চলিক দলগুলো ভোটের পরে কী সিদ্ধান্ত নেব, তা ভোটের পরেই ঠিক করব।” অর্থাৎ মমতার কথায় স্পষ্ট যে তিনি কংগ্রেসের সাথে নেই।
আবার গতকালই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Punjab chief minister Bhagwant Singh Mann Aam Aadmi Party) জানিয়েছেন – আসন্ন লোকসভায় পাঞ্জাবে আপ এককভাবে লড়বে। সংবাদমাধ্যমের সামনেই তিনি বলেন, “পাঞ্জাবে আপ আর কংগ্রেসের জোট হচ্ছে না। একক ভাবে ১৩টি আসনেই লড়বে আপ” অর্থাৎ কংগ্রেসের সাথে কাটল তাল। আর এই সব নিয়ে চর্চার মাঝেই শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জানালেন, মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৩টি তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
রাউতের কথায়, বাকি ২৫টি আসন তিন শরিকের জন্য অর্থাৎ মহা বিকাশ আঘাড়ি, কংগ্রেস এবং এনসিপি’র জন্য ছেড়ে দেবেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘ ২৩টি আসনে লড়াই করবে উদ্ধব সেনা (uddhav sena)। এটাই দলের সিদ্ধান্ত। যে কেন্দ্রগুলিতে আমাদের শক্তি রয়েছে সেগুলিতেই লড়াই করব। যে প্রার্থীদের জয়ের ক্ষমতা রয়েছে তারাই লড়াইয়ে নামবে।’ তবে এই ২৫টি আসন তিন শরিকের জন্য ছেড়ে দিলেও তাতে লাভের লাভ কতটা হবে সেই নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থাকছেই। কংগ্রেস বড় দল বলে আসন বন্টন নিয়ে তাদের তথাকথিত একগুঁয়ে মনোভাবই কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় অন্য সকল দলগুলি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় করা খবর! এবার এমন দুজনকে তলব করল CBI, ঘুম উড়ল তৃণমূলের
প্রথমে বাংলা, তারপর পঞ্জাব আর এবার মহারাষ্ট্র নিয়েও স্পষ্ট বার্তা এল কংগ্রেসের জন্যে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি কংগ্রেস। তবে তিন রাজ্যের সিদ্ধান্ত যে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। যেখানে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপিকে পরাজিত করতে ইন্ডিয়া জোট গঠন হয়েছে, এখন সেই ইন্ডিয়া জোটেই সমানে জট লেগে যাচ্ছে।