বাংলা হান্ট ডেস্ক : সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) দরবারে মিলল স্বস্তি। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) ক্ষেত্রে রইলনা কোনও বাধা। সুপ্রিম কোর্ট জানাল, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য (West Bengal)। প্যানেল প্রকাশেও বাধা তুলে নিল বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ। বজায় রইল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্ত।
গত সোমবার ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পর্ষদের তরফ থেকে এর আগেই জানানো হয়েছিল যে, নিয়োগের সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় সারা। আদালতের তরফ থেকে স্থগিতাদেশ আসার কারণেই এতদিন বন্ধ ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ফের শুরু হয়ে যাবে নিয়োগের প্রস্তুতি।
২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার পর অনেকেই চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে আদালতের তরফে বিএড ও ডিএলএড নিয়ে নয়া নির্দেশনা আসতেই শুরু হয় জটিলতা। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকের তরফে কেবল বিএড ডিগ্রিধারীরাই আবেদন করতে পারবেননা। এক্ষেত্রে ডিএলএড ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। তবে যেহেতু ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়নি তাই সমস্যায় পড়ে যান টেট উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৬৫ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন : ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীই অনুপ্রেরণা, ইসলাম ছেড়ে সনাতনে ফিরলেন আকবর, সেলিমরা, হল ১০০০ জনের ঘর ওয়াপসি
এরপর ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০২০ সালে ফের একবার ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় ২০২২ সালে। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যারা ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তারাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। এরপরেই পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এরপর ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তেই মান্যতা দেন।
আরও পড়ুন : করোনা মহামারির সময় কেন থালা বাজাতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী? ৪ বছর পর নিজেই করলেন খুলাসা
এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিলে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। সেই সময় পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক নিয়োগের প্যানেল তাদের কাছে তৈরি হয়েই আছে। আইনি বৈরিতার কারণে নিয়োগ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এই ঘটনার পর গত সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ এবার পর্ষদ তার নিজের নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে।