বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় নদী ভাঙন বেশ পুরনো সমস্যা। ভোটের মুখে প্রত্যেকটি সরকারের নদী ভাঙন নিয়ে দেখা যায় চিন্তা। ভোটের আগে সরকারের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিতে দেখা যায় নদী ভাঙন নিয়ে। তবে বছরের অন্যান্য সময় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের এই সমস্যা মাথায় আসেনা।
এই কথা আমরা বলছি না, মুর্শিদাবাদের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষরা অন্তত এমনটাই মনে করছেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বড় আশ্বাস দিলেন গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সামসেরগঞ্জ ও ফরাক্কাতে গঙ্গা ও পদ্মা ভাঙন রোধে। কাজ করছে তারাও।
আরোও পড়ুন : চেয়েছিলেন ছেলে হোক, পরপর জন্ম নিয়েছিল ৭ মেয়ে! সেই ‘কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা’ই আজ এক গর্বিত বাবা
জেলা শাসকদের কাছে তিনি একটা অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, যাদের ঘরবাড়ি গঙ্গা ভাঙনে নষ্ট হয়েছে, তাদের দু-তিন বছরের রেকর্ড দিন। গঙ্গায় যাদের ঘরবাড়ি আগামী দিনে চলে যেতে পারে তাদের সরিয়ে আনুন। তারাও একটু অন্য জায়গায় সরে যান। আপনাদের জায়গা দেখে দেবে সরকার। গঙ্গার স্রোতে কোনও দিন যদি আপনার বাড়ি ডুবে যায় তাহলে সেখানে সরকারের হাত নেই।
আরোও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার নাবালিকার গলাকাটা দেহ! তুমুল চাঞ্চল্য মালদায়
বলা বাহুল্য, যে পর্যায়ে গঙ্গা ভাঙন হচ্ছে, তাতে যে কোনও সময় ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কথা বলেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের সাথে। মুখ্যমন্ত্রী তাদের বলেন, গঙ্গা ভাঙনে বিপর্যয় হতে পারে যাদের, তারা যেন দূরে সরে যান। দরকার হলে স্পেশাল ব্যবস্থা নিয়ে সরকার ঘরবাড়ি তৈরি করে দেবে। আমরা দেব জমি।
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের বড় আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএমদের অনুরোধ করছি এই পরিকল্পনা করার জন্য। চা বাগানে পাট্টা দিচ্ছি আমি, সংখ্যালঘুদের জন্যও তো দিলাম, এদের দিলে ক্ষতি কী? সব সময় দেখতে হবে গঙ্গা ভাঙনে যাতে কারোর বিপর্যয় না হয়।