বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে খুলল জট। চাকরি পাচ্ছেন বাম আমলে বঞ্চিত ৩২৮জন শিক্ষক। দীর্ঘ আন্দোলনের পর নিয়োগ পেতে চলেছেন ২০০৯- এর প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবারই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অজিত নায়েক ৩২৮জনের নাম প্রকাশ করবেন (Primary Recruitment Panel)। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নিয়োগপত্রও। সোমবার এই ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সোমবার নিয়োগের কথা ঘোষণা করে ভিডিও বার্তায় কুণাল ঘোষ জানান,’ আলোচনা চলছিলই। সেই আলোচনায় ফল মিলেছে।’ আজ ডায়মন্ড হারবারের ডিপিএসসি নামের প্যানেল প্রকাশ করবেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সহযোগিতা করার জন্য আন্দোলনকারীদের আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
তবে শিক্ষা দফতরের কোনও আধিকারিক না হয়ে একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের পদে থেকে কিভাবে কুণাল এই ঘোষণা করলেন তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। ওদিকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান কুণাল।
যদিও আন্দোলনকারীরা তৃণমূল মুখপাত্রের সেই দাবি রাখেনি। সবটা ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেসব দেখার পরই তারা সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন। কারণ তাদের দাবির সঙ্গে কুণাল ঘোষের দেওয়া সংখ্যার মিল নেই বলেই তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা সাংবাদিক বৈঠক করে এই ৩২৮জনের প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে সেই নিয়োগ বাতিল করে ২০১৪ সালে ফের নতুন করে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নিয়োগ আটকে যায়। এরপর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সুরাহা হয়নি। নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: বেশিদিন অপেক্ষা নয়! এই দিন সুপ্রিম কোর্টে উঠবে রাজ্যের DA মামলা, সামনে এল দিনক্ষণ
এরপর ২০২২ সালে দেড় হাজার জনের প্যানেল প্রকাশ হয়। নিয়োগও হয়। তবে এই ৩২৮ জন নিয়োগ পাননি। এখনও ডায়মন্ড হারবারের ডিপিএসসি-র সামনে ধর্নারত তারা। তবে এবার তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুণাল। নিয়োগ দুর্নীতির আবহে একজোটে এই ৩২৮ জনের নিয়োগের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।